নিজস্ব প্রতিনিধি
সংবাদকর্মী হিসেবে ২০০৮ সাল থেকে এই পেশাতে নিয়োজিত হয়েছি। সেখান থেকেই এই পেশাতে পথ চলা শুরু হয়েছে আমার। দীর্ঘদিন ধরে সমাজের অবহেলিত, বঞ্চিত, অসহায়, মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছি খবরের পাতায়। তাদের দুঃখ কষ্টের কথা গুলো তুলে ধরার চেষ্টাও করেছিলাম, তাদের বন্ধু হিসাবে, শুধু একমাত্র রাঘববোয়ালদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার মতো আমার কাছে একটি দিয়ে তাদের দুর্নীতি অনিয়মের তথ্যগুলো তুলে ধরেছি। তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে গিয়ে আমি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গায় লাঞ্ছিত অপমানিত হয়েছে।
এমনকি ভোলা সদর উপজেলা রাজাপুর ইউনিয়নের তৎকালীন চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান খাঁন, আমাকে মিথ্যা মামলা, হামলা ও প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে আমার কলম বন্ধ করার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু পারেননি।
তারপর ভোলার দৌলতখান উপজেলার তৎকালীন চেয়ারম্যান ইয়াসিন লিটন, মা ও মেয়ে দুই দু'জনকে লিটনের হাতে গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন, আমি সেই সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে ইয়াসিন লিটন তাও আমাকে হুমকি-ধামকি ও মিথ্যা মামলা হামলা দিয়ে দাবিয়ে রাখার চেষ্টা করেছেন, আমি কখনো কলম থামিয়ে যায়নি।
তারপর বোরহান'উদ্দিন উপজেলার গঙ্গাপুর ইউনিয়নের তৎকালীন চেয়ারম্যান রিয়াজের বিরুদ্ধে সাধারণ মানুষের চাল আত্মসাৎ করার অভিযোগে আমি সেখানে গিয়ে কলম ধরেছিলাম সাধারণ মানুষের কথা ছিল আপনি আমাদের কথাগুলো পত্রিকার পাতায় তুলে ধরবেন, আমাদের চালের দরকার নেই। আপনি আমাদের দুঃখ কষ্টের কথাগুলো তুলে ধরবেন এতে আমরা খুশি। শেখানো রিয়াজ বলেন, আমি ভোলা -১ তৎকালীন এমপি তোফায়েল আহমেদের আত্মীয় আমাকে কিছুই করতে পারবেন না, আমি আপনাকে দেখে নিব। শেষ পর্যন্ত সাবেক চেয়ারম্যান রিয়ার সাধারণ জনগণের আত্মসাৎ করা চাল গুলো সঠিকভাবে বন্টন করে দিতে বাধ্য হয়েছিলেন।
এরপর ভোলার সর্বোচ্চ ক্ষমতাবান ভোলা-১ তৎকালীন এমপি ও বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের ইউনিয়ন, তার ভাতিজা দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়নের তৎকালীন চেয়ারম্যান ইফতরুল হাসান স্বপন। স্বপনে বড় কামরুল হাসান মিলন, দক্ষিন জয়নগরের তৎকাল চেয়ারম্যান বাচ্চু সহ তার আত্মীয়-স্বজনের বেশকিছু তাদের চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, সাধারণ মানুষের কাছ থেকে চাকরি দেওয়ার নামে লাখ লাখ টাকা প্রতারণা, যুবতী সুন্দরী মেয়েদেরকে চাকরি দেওয়ার কথা বলে, মেয়েদের সাথে যৌন হয়রানির কর্মকান্ড সহ বিভিন্ন অপকর্ম দুর্নীতির, ৫৮ পাতার একটি লিখিত ও ভিডিও অভিযোগের নতি আমার হাতে আসে। আমি এনিয়ে ধারাবাহিক পত্রিকার পাতায় সংবাদ তুলে ধরি।
তারপর আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুম করে নিয়ে যান, সাধারণ মানুষের ভালোবাসার ও দোয়াই মহান আল্লাহ আমাকে সেখান থেকে বাঁচিয়ে এনেছেন। পুলিশ আমাদেরকে উদ্ধার করেন। অবশেষে আমাদের বিরুদ্ধে তৎকালীন ভোলা ১ আসনের এমপির আপন ভাতিজা, কামরুল হাসান মিলনকে বাদী বানিয়ে, একটি মিথ্যা চাঁদাবাজি মামলা দিয়ে জেল হাজতে পাঠান। একমাস ১৮ দিন পর আমি ও আমার সহকর্মী ইব্রাহিম সহ কারাবন্দি থাকি। মিথ্যা মামলার দাবি নিয়ে এসে আমি চিকিৎসার জন্য ঢাকা যায়, চিকিৎসা নিয়ে ভোলায় ফিরে আসার পরে আমি তাদের বিরুদ্ধে অপহরণ ও হত্যা চেষ্টা মামলা করি। মামলা করার পর থেকে আমাকে একের পর হুমকি-ধামকি চিরতর শেষ করে দেওয়ার সব জানিয়ে দেন তারা। এখন পর্যন্ত মহান আল্লাহ আমাকে বাঁচিয়ে রেখেছেন। সেই মামলা মহামান্য আদালত পিবিআইকে তদন্ত করে সঠিকভাবে প্রতিবেদন আদালতে পূরণ করার নির্দেশ দেন আদালত। বর্তমানে মামলাটি পিবিআই কাছে রয়েছে।
সর্বশেষ আমার জন্মস্থান ইউনিয়ন পূর্ব ইলিশা শেখানোও এক মর্মাদিক ঘটনা ঘটিয়েছেন তৎকালীন চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন ছোটন, সে বিষয়টিও আমি গণমাধ্যমে পত্রিকার পাতায় তুলে ধরেছি ওই অসহায় পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ে, ছোটন চেয়ারম্যান ও তার ভাই সহ অন্যকে আমাকে তাও চিরতরে শেষ করে দেওয়ার একের পর এক হুমকি-ধামকি দেন।
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৫ তারিখের কয়েকদিন আগে, আমি কালীবাড়ি রোড ছোটন চেয়ারম্যানের, বাসার নিচে তলায় আমার দুই সন্তান প্রাইভেট পড়ে, আমার বাচ্চাদেরকে আমি প্রাইভেটে দিতে গিয়েছিল, সেখানে আমাকে ছোট চেয়ারম্যানের ছোট ভাই ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর সহ আমাকে অপমান অপদস্থ করেন। আমি বিষয়টি তৎকালীন সাবেক চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন ছোটনকে অবগত করি এবং উপজেলার তৎকালীন চেয়ারম্যান কে জানানোর চেষ্টা করেছি কিন্তু ভাগ্যের কি পরিহাস জানাতে পারিনি, উপজেলা চেয়ারম্যান আমাকে কোন সময়ই দেননি। তারপর আমার সিনিয়র কয়েকজন সহকর্মীদেরকে বিষয়টি অবগত করেছি, তারা আমাকে সান্ত্বনা দিয়েছেন, তাদের সান্ত্বনা নিয়ে আমি আজও বেঁচে আছি।
আমার এই কথাগুলো আপনাদের মাঝে তুলে ধরার এতদিন আমি সময় পাইনি। সর্বশেষ আমার একটি কথাই বলবো আমার ২০০৮ সাল থেকে এই পথে পথ চলা শুরু, শেষ হওয়া পর্যন্ত আমি অবহেলিত, বঞ্চিত, অসহায় ও দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে। অবহেলিত মানুষের পাশে থেকে কলম চালিয়ে যাব, যতদিন বেঁচে থাকি ইনশাল্লাহ।
আমার এই লেখা যদি কেউ বিরুদ্ধে যায়, তাহলে আমাকে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন দয়া করে।
তবুও আমার সুখ-দুখ আপদে বিপদে শুধু আল্লাহ ও আমার বাবা-মা তারপরে একজনকে পেয়েছি, যিনির নাম আমি না লইলে নিজের সাথে বেইমানি করা হবে, তার নাম ""আবুল কালাম আজাদ ভাই""। আরও আমার শ্রদ্ধেয় সম্পাদক মহোদয় এবং বিভিন্ন সংবাদ কর্মী ও কলা-কৌশলী, আমার বন্ধু'বান্ধব আমার পাশে ছিলেন ও আমাকে সাপোর্ট দিয়েছেন। আমি কখন আপনাদেরকে ভুলবো না, আপনাদের প্রতি আমি আজীবনের কৃতজ্ঞ।
প্রকাশক : নাদিম হোসেন তালুকদার, প্রধান সম্পাদক: আলমগীর হোসেন তালুকদার, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : মোহনা চৌধুরী পিয়া, উপদেষ্টা: মোস্তফা সরোয়ার, আইন উপদেষ্টা :অ্যাডভোকেট তোহা, নির্বাহীসম্পাদক: মোহাম্মদ হবে হাফেজ মাওলানা আব্দুর রহমান, ফোন নাম্বার : 𝟎𝟏𝟕𝟏𝟏𝟒𝟑𝟏𝟏𝟔𝟑, প্রধান কার্যালয় : ৩ নং চিড়িয়াখানা রোড, নিউ সি ব্লক, মিরপুর-১ ঢাকা ১২১৬
E-mail : dainikbbckhobor.com@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত