বাদল আহাম্মদ খান নিজস্ব প্রতিবেদক, আখাউড়া
সবে এইচএসসি পাস করা দুই ছেলে ফেরারি হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। বাড়ির বাইরে থাকেন গাড়ি চালক স্বামী। এক মেয়েকে নিয়ে আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন কামরুন্নাহার।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া পৌর এলাকার মসজিদ পাড়ার কামরুন্নাহার সোমবার সকালে সংবাদ সম্মেলন করে নিজের করুণ অবস্থার কথা বর্ণনা করেন। কলেজ পাড়ার বাঁধন কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।
হেলাল মিয়া নামে এক প্রতিবেশির দায়ের করা মিথ্যা মামলায় জর্জরিত জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমার স্বামী মাইক্রোড্রাইভার। আমার ছেলে মেয়ে লেখাপড়া করে। বাড়িতে আমি প্রায়ই একা থাকি। হেলাল মিয়া আমার দিকে কুদৃষ্টি দেয়। আমাকে আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্থ করার জন্য আমার স্বামীর বিরুদ্ধে আদালতে জায়গা সংক্রান্ত মামলা দেয়। গত বছরের ১ জানুয়ারি আমাকে ধর্ষণ চেষ্টা করে। এ নিয়ে আদালতে মামলা করি। পরে এলাকার সালিশে বিষয়টি শেষ হলে মামলা প্রত্যাহার করি। কিন্তু আমাকে ও আমার পরিবারকে হয়রানি করতে হেলাল মিয়া আরো দুটি মামলা দেয়। আমি ও আমার স্বামী ওই মামলায় জেল খাটি। মামলার আসামী হওয়ায় আমার ছেলেরাও এখন ফেরারি।’
তিনি অভিযোগ করেন, পুলিশের কাছে গিয়েও সহযোগিতা পাননি।।উল্টো পুলিশের পক্ষ থেকে টাকা চাওয়া হয়। নতুবা বিপক্ষে রিপোর্ট দিবে বলে পুলিশ কর্মকর্তা হুমকি দেন। এ অবস্থায় তিনি এখন অসহায় হয়ে পড়েছেন।