বাদল আহাম্মদ খান নিজস্ব প্রতিবেদক
কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম উপজেলার বাঙ্গালপাড়ার লাউড়া গ্রামের বৃদ্ধা জজ খাতুন (৯০) দুই মেয়েকে নিয়ে চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেনে চট্টগ্রাম যাচ্ছিলেন। সেখানেই তারা ভিক্ষাবৃত্তি করেন।
বুধবার রাত নয়টার দিকে ট্রেনটি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্টেশন ঢোকার মুহুর্তে মারা যান জজ খাতুন। এরই মধ্যে যাত্রীরা লাশ নামিয়ে ফেলার জন্য ট্রেন সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ করেন। কিন্তু সঙ্গে থাকা জজ খাতুনের দুই মেয়ে চাচ্ছিলেন চট্টগ্রাম যেখানে থাকেন সেখানে লাশ নিয়ে যেতে। তবে এতে যাত্রীরা আপত্তি করেন। অন্যদিকে জজ খাতুনের পরিবার জানায়, লাশ নেওয়ার মতো টাকা তাদের হাতে নেই। পরে ট্রেনযাত্রীসহ স্টেশনে উপস্থিত লোকজন টাকা দেন। ট্রেনটি প্রায় এক ঘন্টা যাত্রাবিরতি দিয়ে ছেড়ে যায়।
মৃত্যুর পর কেবলই যেন লাশ হয়ে গেলেন জজ খাতুন। ট্রেনে জজ খাতুনের মরদেহ বহন করতে সবারই আপত্তি। এমনকি অনেকে চেঁচামেচিও শুরু করে দেন।
আখাউড়া স্টেশনে থাকা মো. মঈন মিয়া প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে জানান, ট্রেনে খুব ভিড় ছিলো। ওই বৃদ্ধা তার দুই মেয়েকে নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ‘ঘ’ বগিতে উঠেন। আখাউড়া আসার পথে তিনি মারা যান। যাত্রীরা লাশ নামাতে বললো বৃদ্ধার পরিবার চাচ্ছিলেন চট্টগ্রাম নিয়ে যেতে। তাদের কাছে লাশ পরিববহনের টাকা নেই বলে জানান। এতে সিদ্ধান্তহীনতা দেখা দেয়। পরে যাত্রীসহ অন্যান্যরা টাকা সংগ্রহ করেন।
আখাউড়া রেলওয়ে থানার ওসি শফিকুল ইসলাম জানান, ওই বৃদ্ধার মেয়েদের সম্মতিতে লাশ নামানো হলে রাত পৌণে আটটার দিকে ট্রেনটি ছেড়ে যায়। লাশ নেওয়ার জন্য পরিবহনের ব্যবস্থা হয়েছে