বন্দর প্রতিনিধি
যেখানে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ সেখানে এই ফ্যাসিবাদী আওয়ামী দোসর বন্দর উপজেলার সাদিয়া আফরিন তমা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতা আন্দোলনে হত্যা মামলার আসামীদের আশ্রয় প্রশ্রয় দিচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এছাড়াও আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের কর্মীদের সংঘঠিত করে দেশের পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করার চেষ্টা চালাচ্ছে এবং সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র ডাঃ সেলিনা হায়াৎ আইভি কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েছে বলে গুজব রটিয়ে পরিস্থিতি ঘোলাটে করার অপচেষ্টা করছে।
নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর উপজেলার আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলার অটোপাশের সাবেক চেয়ারম্যান এম এ রশিদ এর সান্নিধ্যে থাকা নৌকার পক্ষে জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচনে কাজ করা নারী সাদিয়া আফরিন তমা সরকার পরিবর্তনের পর নিজের ভোল্ট পাল্টে ফেললেও গোপনে আওয়ামী লীগকে সংঘঠিত করছে এবং বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার পায়তারা চালাচ্ছে বলে বন্দর উপজেলার বেশ কয়েকজন সচেতন মহল জানান।
জানা যায়, সাত ঘাটের পানি খাওয়া তমা বন্দর সহ নারায়ণগঞ্জ শহরের বিভিন্ন সংস্থায় বিচরণ করা এই নারী একটি বীমা কোম্পানীতে চাকরী করে। চাপাবাজ হিসেবেও তার পরিচিতি রয়েছে। বিশেষ করে এক জনের কথা আরেকজনের কাছে না বলা পর্যন্ত তার পেটের ভাত হজম হয়না। গীবত গাওয়া তার নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার। নারায়ণগঞ্জ শহর ও বন্দরে নারী উদ্যোক্তারা তমাকে একজন বিশৃঙ্খল ও পর খাওয়া নারী হিসেবে চিনে। তাকে দিয়ে সহজেই যে কোন কাজ করানো এবং অপরের বিরুদ্ধে যা তা বলানো যায়। বিগত আওয়ামী সরকারের সময় অনেক নারী উদ্যোক্তার জীবন নষ্ট করে দিয়েছে এবং সাদিয়া আফরিন তমা। নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আইভীর নাম ব্যবহার করে বন্দরে সিডিসির কথা বলে অনেকের টাকা মেরে দেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে। বন্দর উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান এম এ রশিদের নাম ব্যবহার করেও বন্দরের অনেকের সাথে দুর্ব্যবহার করে জনজীবন অতিষ্ঠ করে তুলেছিল এই সাদিয়া আফরিন তমা। মেয়র আইভী গ্রেফতার হওয়ার পর পুলিশকে ইট পাটকেল নিক্ষেপ করেছিল এবং সম্প্রতি আইভী জামিনে মুক্ত হয়েছে বলে গুজব রটিয়ে সমাজে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছে। বিশঙ্খলাকারী আওয়ামী দোসর সাদিয়া আফরিন তমাকে দ্রুত গ্রেফতারের জন্য সেনাবাহিনী ও বন্দর থানা পুলিশের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে।