বাদল আহাম্মদ খান নিজস্ব প্রতিবেদক
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জায়গা নিয়ে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ আনা হয়েছে। প্রথমে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ নেতারা মিলে সরকারি জায়গা দখলের অভিযোগ উঠে। এ বিষয়ে মানববন্ধন হওয়ার পর শ্রমিকদল, স্বেচ্ছাসেবক নেতার বিরুদ্ধে চাঁদাদাবির অভিযোগ উঠানো হয়েছে।
এলাকাবাসীর দাবি, কয়েক বছর আগে এখানে সাইনবোর্ড টানিয়ে পৌর প্রাথমিক বিদ্যালয় করার ঘোষণা দেন তৎকালীন মেয়র। জায়গাটি সরকারি খাস খতিয়ানের উল্লেখ করে সেখানে বিদ্যালয় করার দাবিতে মানববন্ধন করেন এলাকাবাসী। একইসঙ্গে প্রশ্ন তুলেছেন, কে বা কারা কি কারণে সাইনবোর্ড সরিয়ে ফেলেছেন।
অন্যদিকে জায়গার মালিক দাবি করাদের পক্ষ থেকে শনিবার, ২০ সেপ্টেম্বর করা সংবাদ সম্মেলনে উল্টো চাঁদাদাবির অভিযোগ আনা হয়েছে। স্থানীয় মডেল মসজিদের হলরুমে হওয়া সংবাদ সম্মেলনে দাবি করা হয়, চাঁদা না পেয়ে জায়গা নিয়ে অপপ্রচার করা হচ্ছে। উল্লেখিত স্থানে কোনো সরকারি জায়গা নেই।
এলাকার মানুষ জানান, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সংলগ্ন এলাকায় পৌরসভার পক্ষ থেকে ‘রাধানগর পৌর প্রাথমিক বিদ্যালয়’ নামে একটি বিদ্যালয় স্থাপন করতে সাইনবোর্ড টানানো হয়। সরকারি জায়গার উপর এ সাইনবোর্ড ছিলো। কিন্তু এখন এখানে ব্যক্তিগতভাবে দোকান উঠানো হয়েছে। বেশ কিছু সরকারি জায়গাও ভরাট করে ফেলা হয়েছে। এতে করে এখানে যে স্কুল করার পরিকল্পনা ছিলো সেটি ভেস্তে যাবে।
তারা জানান, সাবেক মেয়রের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমেই এখানে থাকা পুকুর ও নিচু জায়গা একটি পক্ষ ভরাট করে। তখন কথা ছিলো ১০ শতাংশ জায়গার উপর প্রাথমিক বিদ্যালয় হবে। কিন্তু এখন আর এর কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।
আব্দুল মালেক ও মো. ওয়াসিম নামে দুই যুবক জানান, মালিকানার পাশাপাশি বেশ কিছু সরকারি জায়গা দখল করে ফেলা হয়েছে। আন্দোলনের ডাক দেওয়ায় হয়রানি করা হচ্ছে। আমরা চাই সরকারি জায়গা দখলমুক্ত করে এখানে বিদ্যালয় হোক। এ বিষয়ে ইউএনও বরাবর স্মারকলিপি দেওয়া হবে।
এ বিষয়ে আখাউড়া পৌর এলাকার দেবগ্রামের বাসিন্দা ও বিএনপি নেতা মো. হারুনূর রশিদ ভূঁইয়া বলেন, ‘আমরা জায়গার বায়নাপত্র করার পর বিদ্যালয় করার জন্য জমির মালিকের কাছে ১০ শতাংশ জায়গা দাবি করেন সাবেক পৌর মেয়র। তবে পরে তিনি আর জায়গা কিনেননি। এখানে বিদ্যালয়ের সাইনবোর্ড টানানো হলেও সেটি বহু আগেই সরিয়ে নেওয়া হয়।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এই জায়গার মালিক আমি ও মানিকুল ইসলাম। কিনে রাখা ব্যক্তি মালিকানা জায়গায় কিভাবে এলাকার মানুষ বিদ্যালয় করবে। পাশে যে খাস জায়গা আছে সেখানে কোনো সুযোগ থাকলে এলাকার মানুষ চেষ্টা করে দেখতে পারে। আমরা যে জায়গায় আছি সেখানে কোনো সরকারি জায়গা নেই। কয়েকজন চাঁদা না পেয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে।’
প্রকাশক : নাদিম হোসেন তালুকদার, প্রধান সম্পাদক: আলমগীর হোসেন তালুকদার, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : মোহনা চৌধুরী পিয়া, উপদেষ্টা: মোস্তফা সরোয়ার, আইন উপদেষ্টা :অ্যাডভোকেট তোহা, নির্বাহীসম্পাদক: মোহাম্মদ হবে হাফেজ মাওলানা আব্দুর রহমান, ফোন নাম্বার : 𝟎𝟏𝟕𝟏𝟏𝟒𝟑𝟏𝟏𝟔𝟑, প্রধান কার্যালয় : ৩ নং চিড়িয়াখানা রোড, নিউ সি ব্লক, মিরপুর-১ ঢাকা ১২১৬
E-mail : dainikbbckhobor.com@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত