বাদল আহাম্মদ খান নিজস্ব প্রতিবেদক
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে সোমবার রেকর্ড পরিমাণ মাছ ভারতে রপ্তানি হয়েছে। দিনভর মোট ২৭টি ট্রাকে করে প্রায় সোয়া তিন কোটি টাকার মাছ ভারতে যায়। বিভিন্ন কারণে মাছ বেশি যায় বলে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়িরা জানিয়েছেন।
শুধু ত্রিপুরা রাজ্য নয় ভারতের সেভেন সিস্টার্স (উত্তর-পূর্বের সাত রাজ্য) হিসেবে খ্যাত সব কয়টি অঞ্চলেই বাংলাদেশের মাছের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। বাংলাদেশের মাছ মানেই ত্রিপুরা, আসাম, মেঘালয়, মণিপুর, মিজোরাম, নাগাল্যান্ড, অরুণাচল রাজ্যের মানুষের কাছে অন্যতম চাহিদার পণ্য। আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে ওইসব রাজ্যে প্রতিনিয়তই মাছ রপ্তানি হয়। মূলত ত্রিপুরায় রপ্তানি হলেও সেখান থেকে বাকি ছয় রাজ্যে সেখানকার ব্যবসায়িরা বাংলাদেশের মাছ পাঠিয়ে থাকেন। বাংলাদেশের মাছ যাওয়া-না যাওয়ার উপর নির্ভর করে সেখানকার মাছের দামও।
সোমবার সন্ধ্যায় কথা হলে আখাউড়া স্থলবন্দর মাছ রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. ফারুক বলেন, ‘দিনকে দিন ভারতের উত্তর-পূর্বের বাংলাদেশের মাছের চাহিদা বেড়ে চলছে। ওপারের বাজার বাংলাদেশের মাছের উপর নির্ভর। শুধু ত্রিপুরা নয় ভারতের সাতটি রাজ্যে বাংলাদেশের মাছ যায়। আজ (সোমবার) তিন কোটি টাকার বেশি মাছ গেছে, যা রেকর্ড বলতে হবে। সাম্প্রতিক সময়ে এত মাছ যায়নি।’
আখাউড়া স্থলবন্দর সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নেসার উদ্দিন ভুইয়া এ প্রতিবেদককে বলেন, ‘ত্রিপুরারসহ ভারতের সাতটি রাজ্যে বাংলাদেশি মাছের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এর মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা আয় করতে পারছে।’
তিনি জানান, সোমবার চারটি রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ২৭টি ট্রাকে করে এক লাখ পাঁচ হাজার ৮৪৬ কেজি মাছ ভারতে গেছে, যার মূল্য বাংলাদেশি টাকায় তিন কোটি ২২ লাখ ৮৩ হাজার টাকা। প্রতি কেজি মাছ আড়াই ডলার করে ভারতে যায়। শনিবার সেকেন্ড সেটার ডে, রবিবার সাপ্তাহিক ছুটি, মঙ্গলবার বিজয় দিবস উপলক্ষে মাছ রপ্তানি বন্ধ থাকবে বিধায় একদিনে এত বেশি মাছ ভারতে গেলো।’
সংশ্লিষ্ট সূত্র থেকে পাওয়া তথ্য মতে, আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে গড় হিসেবে প্রতিদিন এখন প্রায় কোটি টাকার বেশি মাছ রপ্তানি হয়। এসব মাছের মধ্যে রয়েছে রুই, কাতলা, মৃগেট, পাঙ্গাস, টেংরা, পাবদা, মেনি ইত্যাদি। এর মধ্যে পাঙ্গাস মাছ যায় সবচেয়ে বেশি, যা ওই সাত অঞ্চলের পাহাড়ি মানুষদের কাছে খুব প্রিয় মাছ। স্থানীয়ভাবে সংগ্রহের পাশাপাশি একাধিক জেলা থেকে আসা মাছ হিমায়িত করে ভারতে রপ্তানি হয়।
ভারতের ‘সেভেন সিস্টার্স’ মূলত স্থল ও পাহাড় বেষ্টিত। রাজ্যগুলো ভারতের মূল ভুখন্ড থেকে অনেকটাই বিচ্ছিন্ন। সমুদ্র কিংবা বড় কোনো নদী না থাকায় স্থানীয় মাছও খুব একটা নেই। স্বাদে ভালো, সহজলভ্য ও তুলনামূলক সস্তা হওয়ায় সেখানে বাংলাদেশি মাছের বিরাট বাজার তৈরি হয়েছে, যা দুই পক্ষের বাণিজ্যিক সম্পর্ক উন্নয়নেও ভ‚মিকা রাখছে।
প্রকাশক : নাদিম হোসেন তালুকদার, প্রধান সম্পাদক: আলমগীর হোসেন তালুকদার, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক : মোহনা চৌধুরী পিয়া, উপদেষ্টা: মোস্তফা সরোয়ার, আইন উপদেষ্টা :অ্যাডভোকেট তোহা, নির্বাহীসম্পাদক: মোহাম্মদ হবে হাফেজ মাওলানা আব্দুর রহমান, ফোন নাম্বার : 𝟎𝟏𝟕𝟏𝟏𝟒𝟑𝟏𝟏𝟔𝟑, প্রধান কার্যালয় : ৩ নং চিড়িয়াখানা রোড, নিউ সি ব্লক, মিরপুর-১ ঢাকা ১২১৬
E-mail : dainikbbckhobor.com@gmail.com
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত