বিশেষ প্রতিনিধ: ভোলা জেলা লালমোহন
উপজেলার ধলীগৌর নগর ইউনিয়নে সম্ভ্রান্ত রাজন আলী পাটোয়ারী বাড়ীর মনির আহম্মদ পাটোয়ারীর ছেলে মনির পাটোয়ারী সাত ভাই বোনের মধ্য চতুর্থতম মনির পাটোয়ারী। মনের পাটোয়ারীর দাদা লুৎফর রহমান পাটোয়ারী ধলীগৌর নগর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক জনপ্রিয় চেয়ারম্যান ছিলেন। মনির পাটোয়ারীর বাবা মনির আহম্মদ পাটোয়ারী ভোলা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে প্রধান (হেড) ক্লার্ক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তার বাবার ভোলা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে চাকরির সুবাদে মনির পাটোয়ারীর শৈশব, কৈশোর ভোলা উকিল পাড়ায় বেড়ে উঠেছেন। তিনি ভোলা সরকারি কলেজের ছাত্র ছিলেন। তার বোন সাজেদা ইয়াসমিন ভোলা জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। মনির পাটোয়ারী লালমোহন উপজেলা বিএনপি’র সাবেক নির্বাহী সদস্য ছিলেন। বর্তমানে তিনি ভোলা জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে আছেন। ১৯৯১ সালে উত্তাল স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে তারুণ্য দীপ্ত যৌবনে মনির পাটোয়ারীর সংগ্রামী ছাত্র রাজনীতির হাতে খড়ি। ১৯৯৬ সালে আন্দোলনের অগ্রজ ভোলা জেলার সর্বজন শ্রদ্ধেয় প্রয়াত মোশারফ হোসেন শাজাহান মিয়ার স্নেহধন্য ছিলেন মনির পাটোয়ারী। ১৯৯৬ সালে বর্তমান ভোলা জেলা বিএনপি সদস্য সচিব রাইসুল আলম মিয়ার সাথে রাজনৈতিক মামলায় (জয়েন্ট ইন্টারোগেশন সেল) কারাবন্দি ছিলেন। ২০০১ সালে স্বৈরাশ শাসন পতনের আন্দোলনের নেতৃত্বদানসহ মরহুম নাজিউর রহমান ভোলায় উঠতে জীবন বাজি রেখে আওয়ামী সন্ত্রাসী দ্বারা আক্রান্ত অনুরূপ ২০০১ সালে সাবেক মন্ত্রী মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ (বীর বিক্রম) এর একান্ত আস্থা অর্জন করেন। ভোলা জেলার বিএনপি’র সংগ্রামী নেতা রাসুল আলম ও ইয়ারুল আলম লিটন সহ ৫ আগস্টের নেতৃত্বদানকারী এবং বিভিন্ন সময় আওয়ামী লীগের দুঃশাসনের শিকার হয়ে কারারুদ্ধ হয়েছিলেন। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে মনির পাটোয়ারীকে ছয়টি মিথ্যা হত্যা মামলা ও বিভিন্ন সময়ে প্রায় ১৭ টি মামলায় কারাবন্দি ছিলেন। ২০১৮ সালে মেজ হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বীর বিক্রম এর গাড়িতে সন্ত্রাসী হামলার হলে ওই গাড়িতে আহত হয়ে ছিলেন মনির পাটোয়ারী। ৫ আগস্ট রাইসুল আলম ও ইয়ারুল ইসলাম লিটন মিয়ার নেতৃত্বে ভোলার নতুন বাজার ও সরকারি স্কুলের সামনে সক্রিয় আন্দোলন করেন। ধলীগৌর নগর কৃতি সন্তান মনির পাটোয়ারীকে বিএনপি সভাপতি হিসেবে মনোনীত করার জন্য দাবি করছেন লালমোহন উপজেলার ধলীগৌর নগর ইউনিয়নের স্থানীয় বিএনপি নেতাকর্মীগণ।