মোঃমিজানুর রহমান মিলন
বিশেষ প্রতিনিধি।
গাইবান্ধার জেলা সদর থানা ৫ নং বল্লমঝাড় ইউনিয়ন ভুমি অফিসটি মাত্র সাত দিনের মাথায় আবারো দালালের কব্জায় চলে যাওয়ার চাঞ্চল্যকর অভিযোগ উঠেছে !
সরো জমিনে দেখার যায়, সম্প্রতি গাইবান্ধা সদর উপজেলার ৫ নং বল্লমঝাড় ইউনিয়ন ভুমি অফিসের তহশীলদার বনি ইসরাইল গাইবান্ধা সদরের খোলাহাটী ইউনিয়ন ভূমি অফিসে বদলী হয়ে যান। তার স্থলা ভিত্তিক হন খোলাহাটী ইউনিয়ন ভুমি অফিসের তহশীলদার সেলিম মিয়া। বনি ইসরাইল ৫নংবল্লমঝাড় ইউনিয়ন ভুমি অফিসে তিন বছর অবস্থানের সময়কালে প্রথম দিকে ৫/৬ জন দালাল প্রকাশ্যে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে আসছিলেন। তাদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেন এলাকার সাধারণ সেবা প্রার্থীরা। ফলে এলাকার কিছু সেবা প্রার্থী ভুক্তভোগী দালালদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে বাধ্য হয়ে সংশ্লিষ্ট উপজেলা ভুমি অফিসের এসি ল্যান্ডের নজরে আনায় তৎকালীন তহশীলদার বনি ইসরাইল উক্ত অফিসটিতে দালাল প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলে ইতোমধ্যে বেশ কয়েকজন দালাল তাদের ভুমি অফিসের দালালী বাদ দিয়ে তাদের আদি পেশায় চলে যায়। কিন্তু উল্লেখিত দালালদের বেশি দিন আদি পেশায় থাকতে হয়নি। আবার ফিরে এসেছে তারা নবাগত তহশীলদার সেলিম মিয়ার বদৌলতে।
গতকাল মঙ্গলবার বল্লমঝাড় ভুমি অফিসে গিয়ে দেখা যায়, সাজু মিয়া নামের একজন দালালের রয়েছে আরো ৪ জন দালাল। ভুক্তভোগীদের অনেকেই জানান, তারা ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা থেকে খারিজ সহ ভুমি সংক্রান্ত বিভিন্ন কাজ সংগ্রহ করে এনে এদের লিডার দালালকে দেয়। এই লিডার দালাল পুনরায় তহশীলদারের সাথে দফারফা করে নেয়। ফলে মাত্র কয়েক বছরের ব্যবধানে ওই দালালের লিডার সাজু মিয়া আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়ে উঠেছে।
আরো জানা যায় এই দালালের লিডার সাজু মিয়া নিজেকে ৫ নংবল্লমঝাড় ইউনিয়ন ভুমি অফিসের স্টাফ পরিচয় দিয়েও প্রতারণা করছে। শুধু তাই নয়, নবাগত তহশীলদার সেলিম মিয়া জমির মামলা মোকদ্দমা সহ কাগজ পত্রের ত্রুটি বিচ্যুতি ধরে নামজারি সহ ভুমি সংক্রান্ত বিষয়ে মটর সাইকেলের পিছনে নিয়ে বেড়ানো ওই দালালের মাধ্যমে চুক্তি করে থাকেন। পরে এই দালালের হাত দিয়েই টাকা লেনদেন করে থাকেন তওশিলদার একাধিক ভুক্তভোগী নিশ্চিত জানান। এছাড়াও পৃথক পৃথক আরো রয়েছে ৩/৪ জন দালাল। সেবা প্রার্থী কেউ আসলেই এদের কারো না কারো খপ্পরে পড়তে বাধ্য হচ্ছে। তারাও একই কায়দায় উৎকোচের টাকা লেনদেন করে থাকেন।
নির্ভরশীল একটি সুত্র জানায়, নবাগত তহশীলদার সেলিম মিয়া যোগদানের পর থেকে অফিসের পিয়ন জোগেস চন্দ্রকে বাদ দিয়ে উল্লেখিত লিডার দালাল সাজু মিয়াকে মটর সাইকেলের পিছনে নিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে। অফিস চলাকালে এই দালালদের পদ চারণায় অফিসটি মুখরিত হয়ে থাকে। তাই অফিসের সিসি ক্যামেরা কোন কাজেই আসছে না!
এলাকার একাধিক ভুক্তভোগী জানান, ঘুষ ছাড়া এই অফিসে কোন সেবা পাওয়া দুষ্কর হয়ে পড়েছে। তাদের অত্যাচারে এই অফিসে আগত সেবা প্রার্থীরা অত্যন্ত অসহায় পড়তে বাধ্য হচ্ছে। তাই জরুরি ভিত্তিতে এই তহশীল অফিসটি দালাল মুক্ত রাখতে সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকার ভুক্তভোগী সাধারণ জনগণ।