বাদল আহাম্মদ খান
নিজস্ব প্রতিবেদক, আখাউড়া
বাহারি নাম। দেখতেও লোভনীয়। ভিন্ন ভিন্ন স্বাদ। পিঠার নাম হৃদয়হরণ, মুখচাহনি, জামাই পিঠা, বউ পিঠা, জামদানি আরো কত কি। জমকালো আয়োজন। কেউ পিঠা খেতে ব্যস্ত তো কেউ পিঠা কেনায়। পুরস্কারের দিক খেয়াল রেখে স্বাস্থ্যসম্মত পরিবেশন, শৃংখলার বিষয়টিও মাথায় রাখতে হচ্ছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ইউনাইটেড কলেজের একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীরা সোমবার আয়োজন করে পিঠা উৎসবের। এই উৎসবে নানা জাতের পিঠার মাধ্যমে বাংলার ঐতিহ্যকে ফুটিয়ে তুলেছেন শিক্ষার্থীরা। ছয়টি স্টলে প্রায় ১০০ ধরণের পিঠার পসরা নিয়ে বসেন শিক্ষার্থীরা।
বেলা ১১টার দিকে কলেজ প্রাঙ্গণে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ইবনে আইন মারুফ পিঠা উৎসবের আয়োজন করেন। এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কলেজের উদ্যোক্তা ও পরিচালক হারুন অর রশিদ, মো. শাহীন মৃধা, পরিচালক ও প্রভাষক সিরাজুল ইসলাম, প্রভাষক শাহাদৎ হোসেনসহ কলেজের শিক্ষকরা।
মানবিক বিভাগের একটি স্টলে জামাই পিঠা, বউ পিঠাসহ নানান জাতের পিঠা চোখে পড়ে। মানবিক বিভাগের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী খাদিজা আক্তার ও জেরিন আক্তার জানান, শিক্ষার্থীরা দিনটিকে উৎসবের রং দিয়েছে। তারা দেশের ঐতিহ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে পিঠা তৈরি করেছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া ইউনাইটেড কলেজের উদ্যোক্তা ও পরিচালক হারুন অর রশিদ, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ইবনে আইন মারুফ বলেন, ‘একটা সময় ছিলো যখন শীতের সময় বাংলার ঘরে ঘরে পিঠা বানানোর ধুম পড়তো। কিন্তু এই ঐতিহ্য অনেকটাই হারিয়ে যাচ্ছে। নতুন প্রজন্মের কাছে গ্রামবাংলার এই চিরন্তন ঐতিহ্য তুলে ধরতে এ উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে।’