হাফিজুর রহমান, বরগুনা জেলা প্রতিনিধি
বরগুনা সদর উপজেলার ১ নং বদরখালী ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের বাওয়ালকর গ্রামের মোসাঃ পিয়ারা বেগমের বসত বাড়ি স্বামীর পৈতিক সম্পত্তি জোর পূর্বক দখল করেছেন তার সৎ ভাই মোঃআলমগীর হোসেন। বিভিন্ন সময়ে আলমগীর তার বড় সৎ বোন পিয়ারা বেগমকে (৭০) মারধর করেন। পিয়ারা বেগম যদি জমি দখল নিতে যায় তাহলে তাকে মেরে ফেলবে বলেও হুমকি দেয়। এ বিষয় পিয়ারা বেগম বলেন আলমগীর ও তার স্ত্রী সন্তানদের হাতে মিলে বিভিন্ন সময় আমি এই বৃদ্ধ বয়সে মার ধরে বহু বার শিকার হয়েছি। আমার ছেলে চট্টগ্রামে রিকশা চালায় আমি একা বাড়ি থাকি আমার সব জমি জমা আলমগীর ভোগ দখল করে। আমি বাধা দিতে গেলে আমাকেও হত্যার হুমকি দেয়, আলমগীর ও তার স্ত্রীর ভয়ে আমি পালিয়ে বেড়াচ্ছি।
ইতিপূর্বে যারা এই সালিশ বৈঠকে বসেন তাদের নামে বিভিন্ন ধরনের মামলা দেন। আলমগীরের স্ত্রী রোকসানা বেগম। এলাকার জনপ্রতিনিধি থেকে শুরু করে, সুশীল সমাজ ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে অমান্য করে বেপরোয়া হয়ে ওঠেন রোকসানা বেগম। রোকসানার ভয়ে এলাকাবাসী মান সম্মান নিয়ে বেঁচে থাকা দায়, এদের বিরুদ্ধে আমি বরগুনা চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করি। মামলা করার পর আমাকে মারধর করে, আমি বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দীর্ঘদিন ছিলাম। এর কোন বিচার আমি পাই নাই। এলাকাবাসী প্রশাসনের কাছে দাবী জানিয়েছেন রোকসানাকে আইনের আওতায় আনা হোক।
এ বিষয়ে আলমগীরের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন বাবার সম্পত্তি আমারও ভাগ আছে। আমার বাবার সম্পত্তি আমি ভোগ করতেছি। এ বিষয় ১ নং বদরখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মতিউর রহমান রাজার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন মোঃ আলমগীর ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে আমার কাছে একাধিকবার অভিযোগ করেছেন পিয়ারা বেগম। আলমগীর ও তার স্ত্রী কোন সালিশ বৈঠক মানে না।