1. info@dainikbbckhobor.com : দৈনিক বিবিসির খবর : দৈনিক বিবিসির খবর
  2. info@www.dainikbbckhobor.com : দৈনিক বিবিসি খবর :
শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৬:২৪ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
রামগঞ্জে শাহাদাত হোসেন সেলিমেরপদযাত্রা  শুরু গাইবান্ধায় পুলিশ লাইন্স স্কুল পরিদর্শন করলেন পুলিশ সুপার বিজয়নগর থেকে কোটি টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের ৩৮তম বাৎসরিক অধিনায়ক সম্মেলন-২০২৫ অনুষ্ঠিত সেনাবাহিনী প্রধান কর্তৃক আর্মি মেডিকেল কলেজ, চট্টগ্রাম এর স্থায়ী ক্যাম্পাস উদ্বোধন ঝালকাঠিতে ২৫ পিস ইয়া.বাসহ দুই জনকে আটক করেছে ডিবি পুলিশ আওয়ামী লীগ সমাজকে নষ্ট  করেছে- মুশফিকুর রহমান সুষ্ঠু ভোটের প্রত্যাশা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাগরিকদের সোনারগাঁয়ে‌ আবুল খায়ের আহ্বান। খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দেশবাসীর দোয়া প্রার্থনা নলডাঙ্গায় অগ্নিকাণ্ডে ৩টি বাড়ি পুড়ে ছাই

গৃহবধূকে হত্যা করে লাশ পাঠালো বাবার বাড়ি 

  • প্রকাশিত: শনিবার, ৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
  • ১১৭ বার পড়া হয়েছে

বাদল আহাম্মদ খান নিজস্ব প্রতিবেদক, আখাউড়া

নরসিংদী জেলার রায়পুরার মুক্তা বেগম (২০) নামে এক গৃহবধুকে শ্বাসরোধে হত্যা করে তার লাশ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে পিত্রালয়ে পাঠিয়ে দিয়েছে শ্বশুর বাড়ির লোকজন।

শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে আশুগঞ্জ থানার পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে পোস্ট মর্টেমের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেছে। এর আগে ভোর চারটার দিকে নিহতের লাশ এক আত্মীয়ের মাধ্যমে পিত্রালয়ে পাঠিয়ে দেয়া হয়। নিহতের স্বামীসহ শ্বশুর বাড়ির লোকজন ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতাল থেকে ওই আত্মীয়কে লাশের গাড়িতে উঠিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায়।

নিহত মুক্তা বেগম আশুগঞ্জ উপজেলার লালপুর হোসেনপুর (কুড়ের পাড়) গ্রামের গোলাম মিয়ার মেয়ে। তার ৭ মাস বয়সী একটি পূত্র শিশু রয়েছে।

এ ঘটনায় আশুগঞ্জ থানা পুলিশ নিহতের শ্বশুর রায়পুরা উপজেলার চাঁনপুর গ্রামের মুজিবুর রহমান ও শ্বাশুরী খোশনাহার বেগমকে আটক করেছে।

পুলিশ জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটক মুজিবুর রহমান ও তার স্ত্রী খোশনাহার বেগম মুক্তাকে শ্বাসরোধে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। তারা জানান, রাত ৮ টা থেকে ২ টা পর্যন্ত মুক্তা ও তার স্বামী আব্দুল্লাহর মধ্যে ঝগড়াঝাটি হয়। রাত ২টার দিকে স্বামী আব্দুল্লাহ মুক্তাকে মুখে হাত চেপে শ্বাসরোধে হত্যা করে। ঘটনা আড়াল করতে মুক্তার লাশ তার পরিবারের নিকট অসুস্থতার খবর দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত ডাক্তার মুক্তাকে মৃত ঘোষণা করলে খায়েশ মিয়া নামে আত্মীয়কে দিয়ে সিএনজিতে লাশটি মুক্তার পিত্রালয়ে পাঠিয়ে দিয়ে আর আসেনি। মুক্তার বুকের ব্যাথার কথা বলে তারা ওই আত্মীয়কে সহযোগিতা করতে সাথে নিয়েছিল।

নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, বিগত দেড় বছর আগে নরসিংদী জেলার রায়পুরা উপজেলার চাঁনপুর গ্রামের মুজিবুর রহমানের ছেলে আব্দুল্লাহর সাথে মুক্তার বিয়ে হয়। আব্দুল্লাহ মিষ্টির দোকানের কারিগর। বিয়ের কয়েক মাস যেতে না যেতেই আব্দুল্লাহ ও তার পরিবারের লোকজন মিষ্টির দোকান দেয়ার জন্য মুক্তার পিতার নিকট তিন লক্ষ টাকা যৌতুক দাবি করতে থাকে। এ নিয়ে স্বামী, শ্বশুর-শ্বাশুরীসহ অন্যান্যরা প্রতিনিয়ত মুক্তাকে মানসিক নির্যাতনসহ মারধর করত। এ নিয়ে দুই পনিবারের মাঝে বিগত এক বছরে বেশ কয়েকটি সালিশ হয়েছে। মুক্তার পিতা গোলাপ মিয়া মেয়ের শান্তির কথা চিন্তা করে যৌতুকের টাকা দেয়ার আশ্বাস দিলেও অক্ষমতার জন্য ব্যবস্থা করতে না পারায় দিতে পারছিলেন না। এরই মধ্যে মুক্তার একটি পূত্র শিশুর জন্ম হয়। যার বয়স বর্তমানে ৭ মাস। গোলাপ মিয়া মেয়ের জামাইকে মিষ্টির দোকান দিতে টাকা দিতে না পারলেও তার মেয়ের ও নাতির চিকিৎসা, ও সিজারিয়ান অপারেশনের খরচ প্রদানসহ নানাভাবে সহযোগিতা করে আসছিলেন।

বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২ টার দিকে মুক্তার শ্বশুর বাড়ির পক্ষ থেকে তারা পিতা গোলাপ মিয়াকে মোবাইল ফোনে জানানো হয় স্বামীর সাথে ঝগরা করে তার মেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে নেয়া হচ্ছে। খবর পেয়ে গোলাপ মিয়া সদর হাসপাতালে পৌঁছার আগেই তার লাশ নিয়ে বেড়িয়ে যায়। পরে তিনি বাড়িতে এসে তার মেয়ের লাশ দেখতে পান। এদিকে সকালে নিহতের শ্বশুর ও শ্বাশুরী মুক্তার লাশ দেখতে এলে পুলিশ তাদের আটক করে।

এ ব্যাপারে আশুগঞ্জ থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) সজল কান্তি দাস বলেন, নিহতের লাশের সুরতহাল করে ময়না তদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। তার গলা ও শরীরে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। নিহতের শ্বশুর শ্বাশুরীকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা মুক্তাকে শ্বাসরোধে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। যেহেতু ঘটনাস্থল নরসিংদী উপজেলার রায়পুরায় তাই নিহতের স্বজনদের রায়পুরা থানায় এজাহার দিতে বলা হয়েছে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট