জোবায়দুর রহমান জুয়েলগাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধ
গাইবান্ধা সাদুল্যাপুরের নলডাঙ্গা ইউনিয়নে চুরির দায়ে এক শিশুকে খুঁটির সাথে বেঁধে নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। আজ মঙ্গলবার সকাল (১১ ফেব্রুয়ারি) ১০ টার দিকে এই ঘটনা ঘটে নলডাঙ্গা ইউনিয়নের দশলিয়া গ্রামে।ঘটনার পরপরই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খুঁটিতে বেঁধে রেখে শিশু নির্যাতনের ভিডিওটি ভাইরাল হয়েছে।
শিশুটি হলেন, সাদুল্যাপুর উপজেলার নলডাঙ্গা ইউনিয়নের দশলিয়া গ্রামের লাড্ডু ব্যবসায়ী আনছার আলীর ছেলে রানা মিয়া (১১)।
স্থানীয়সূত্রে জানা যায়, নলডাঙ্গা ইউনিয়নের
দশলিয়া গ্রামের মৃত মো.আলীর ছেলে বিকাশ ব্যবসায়ী মোস্তাফিজুর রহমানের বাড়িতে গত তিন দিন আগে মোবাইল, টাকা পয়সা হারিয়ে গেলে এই শিশুটিকে সন্দহভাজন সকাল ৯ টার দিকে আটক করা হয়।দেড় ঘন্টা ব্যাপী স্থানীয় বাজারে একটি মুদি দোকানের খুঁটির সাথে বেঁধে নির্যাতন চালায় এই ব্যবসায়ী ও আশপাশের বেশকিছু লোকজন । নির্যাতনের একপর্যায়ে পরিবারের স্বজনরা এলে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।
বিকাশ ব্যবসায়ী মুস্তাফিজুর রহমান অভিযোগ এনে দৈনিক কারবেলা পত্রিকাকে ,ছেলেটি তার বাড়ি থেকে তিনটি বিকাশ ব্যবসার বাটন মোবাইল ও ১৬ হাজার ৮ শত টাকা চুরি করে।এরপর যাচাই-বাছাই করলে ছেলেটিকে আটক করেন তিনি। ছেলেটির স্বজনরা টাকা পয়সা দিতে স্বীকারও করেন তবে ১৬ হাজার ৮ শত টাকার পরিবর্তে ৬ হাজার টাকা দিতে রাজি হলে স্থানীয় লোকজন তাকে বেঁধে রাখে একটি মুদি দোকানের খুঁটিতে।
লাড্ডু ব্যবসায়ী আনসার আলী বলেন, আমার ছেলেটিকে বিনা অপরাধে খুঁটির সাথে বেঁধে রেখে নির্যাতন চালিয়েছে । এক পর্যায়ে জোর করে স্থানীয়দের মাধ্যমে এই বিকাশ ব্যবসায়ী ১৬ হাজার টাকা নেয়। পরে আমার ছেলেটিকে ছেড়ে দেয় তারা।প্রশাসনের কাছে এরকম ঘটনার বিচার চাই।
স্থানীয় রাশেদ মিয়া দৈনিক কালবেলা পত্রিকা বলেন,বিষয়টি খুব দুঃখজনক।এরকম ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
এদিকে মুস্তাফিজুর রহমান আরও বলেন, গত তিন দিন আগে আমার বাড়ি থেকে এই ছেলেটি মোবাইল ও টাকা পয়সা রাতের আঁধারে চুরি করে নিয়ে যায় এজন্যই তাকে আটক করেছিলাম। পরিবারের স্বজনরা ১৬ হাজার টাকা দিলে তাকে ছেড়ে দেই।
এ বিষয়ে সাদুল্যাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তাজ উদ্দিন খন্দকার জানান , এখন পর্যন্ত থানায় অভিযোগ পাওয়া যায়নি অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।