1. info@dainikbbckhobor.com : দৈনিক বিবিসির খবর : দৈনিক বিবিসির খবর
  2. info@www.dainikbbckhobor.com : দৈনিক বিবিসি খবর :
শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৮:২৭ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে পুলিশের মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেফতার ১ রামগঞ্জে শাহাদাত হোসেন সেলিমেরপদযাত্রা  শুরু গাইবান্ধায় পুলিশ লাইন্স স্কুল পরিদর্শন করলেন পুলিশ সুপার বিজয়নগর থেকে কোটি টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের ৩৮তম বাৎসরিক অধিনায়ক সম্মেলন-২০২৫ অনুষ্ঠিত সেনাবাহিনী প্রধান কর্তৃক আর্মি মেডিকেল কলেজ, চট্টগ্রাম এর স্থায়ী ক্যাম্পাস উদ্বোধন ঝালকাঠিতে ২৫ পিস ইয়া.বাসহ দুই জনকে আটক করেছে ডিবি পুলিশ আওয়ামী লীগ সমাজকে নষ্ট  করেছে- মুশফিকুর রহমান সুষ্ঠু ভোটের প্রত্যাশা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাগরিকদের সোনারগাঁয়ে‌ আবুল খায়ের আহ্বান। খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দেশবাসীর দোয়া প্রার্থনা

ভাই বোন হোমিও চিকিৎসক ৬০ বছর ধরে চিকিৎসা দিচ্ছে নিমাই হোমিও চিকিৎসালয় 

  • প্রকাশিত: রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
  • ২৭৬ বার পড়া হয়েছে

বাদল আহাম্মদ খান নিজস্ব প্রতিবেদক, আখাউড়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় প্রায় ৬০ বছর ধরে হোমিও চিকিৎসা সেবা দিচ্ছে নিমাই হোমিও চিকিৎসালয়। গত শতাব্দীর ষাটের দশকের মাঝামাঝি আখাউড়া শহরের লাল বাজার রোডে দু’চালা একটি ছোট্ট টিনের ঘরে হোমিও চিকিৎসা সেবা শুরু করেন ডাঃ নিমাই চন্দ্র রায়। একটি টেবিল আর একটি ছোট্ট আলমিরায় ওষুধ নিয়ে আখাউড়ায় প্রথম হোমিও চিকিৎসা শুরু করেন তিনি। শুরুর দিকে বেশি রোগী হতো না। ধীরে ধীরে রোগীর আস্থা অর্জনের মধ্য দিয়ে ডাঃ নিমাই চন্দ্র রায় মানুষের কাছে নিমাই ডাক্তার হয়ে উঠেন। এক সময় টিনের ঘর পাকা বিল্ডিংয়ে পরিবর্তন হয়। হালে এলোপ্যাথিক চিকিৎসার উন্নতি এবং জনসাধারণের দুরগোড়ায় এসেছে। শহর থেকে গ্রাম সর্বত্র ক্লিনিক-ডাক্তারের চেম্বার। রয়েছে সরকরি হাসপাতালও। এরই মাঝে কালের স্বাক্ষী হয়ে আজও হোমিও চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছে নিমাই হোমিও চিকিৎসালয়। নিমাই চন্দ্র রায়ের ৬ ছেলে মেয়ে সবাই হোমিও চিকিৎসক। বাবার পাশে বসেই চিকিৎসা পেশা শুরু করেন ডাঃ নিরঞ্জন চন্দ্র রায় এবং ডাঃ রিপন চন্দ্র রায়। ২০২২ সালের ৭ ডিসেম্বর দীর্ঘ অর্ধ শতাব্দীকাল চিকিৎসা পেশায় জড়িত থাকাবস্থায় ডাঃ নিমাই চন্দ্র রায় পরলোকগমন করেন। বর্তমানে তার দুই ছেলে ডাঃ নিরঞ্জন চন্দ্র রায় ও ডাঃ রিপন চন্দ্র রায় নিমাই হোমিও চিকিৎসালয়ে রোগী দেখেন।

উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের সাতপাড়া গ্রাম থেকে আসা এক নারী রোগী বলেন, দ্ইু বছর ধরে এ চেম্বার থেকে চিকিৎসা নিচ্ছি। উপকার পেয়েছি।

উপজেলার বনগজ গ্রামের আনোয়ার মিয়া বলেন, ২/৩ বছর ধরে নিমাই ডাক্তারের ওষুধ নিচ্ছি। উপকার পাচ্ছি।

জানতে চাইলে ডাঃ নিরঞ্জন চন্দ্র রায় বলেন, ১৯৬৭ সালে এইচএমবি ডিগ্রী সম্পন্ন করে বাবা হোমিও চিকিৎসা শুরু করেন। বাবার মুখে শুনেছি। শুরুর দিকে রোগী হতো না। এজন্য মাঝে মাঝে হতাশ হয়ে পড়তেন। সেময় স্থানীয় ডাক্তার মহন লাল বাবাকে ধৈর্য্য ধরার পরামর্শ দিতেন। আস্তে আস্তে রোগী বাড়তে থাকে। ২০২২ সালের ৭ ডিসেম্বর বাবা মারা যান। এখন আমি ও আমার ছোট ভাই ডাঃ রিপন চন্দ্র রায় রোগী দেখি। আমরা ৪ বোন ২ ভাই। সবাই হোমিও প্যাথিক ডিগ্রী ডিএইচএমএস সম্পন্ন করেছি। সবাই হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা পেশায় জড়িত রয়েছে।

ডাঃ নিরঞ্জন চন্দ্র রায় আরও বলেন, হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় সঠিক আরোগ্য হয়। এজন্য হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা পেশায় এসেছি। রোগীর সমস্যা বুঝতে পেরে সঠিক ওষুধ দিলে আরোগ্য হয়। ভালো রোগী পাচ্ছেন বলে জানান তিনি। নারী ও শিশু রোগী বেশি আসে বলে জানান তিনি। জ¦র, সর্দি, কাশি এ জাতীয় রোগীই বেশি আসে। এছাড়াও মহিলারা নানা সমস্যা নিয়ে চিকিৎসা নিতে আসেন।

আখাউড়া চন্দনসার এলাকার বাসিন্দা লেখক আলী মাহমেদ বলেন, আমাদের ছোট বেলায় আখাউড়ায় হাতেগুনা কয়েকজন এলোপ্যাথিক ডাক্তার ছিল। তখন হোমিও চিকিৎসা দিতেন ডাঃ নিমাই চন্দ্র রায়। আমিও নিমাই ডাক্তারের চিকিৎসা নিয়েছি। ওই সময় আমাদের পরিবারের যে কোন অসুখ বিসুখে উনার কাছে যেতাম।

এ ব্যপারে জানতে চাইলে আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান ডাঃ হিমেল খান বলেন, চিকিৎসা বিজ্ঞানের একটি ধারা হোমিও চিকিৎসা। সরকারী অনুমোদনপ্রাপ্ত হোমিও কলেজ থেকে কোর্স সম্পন্ন করা চিকিৎসক যথাযথ নিয়ম মোতাবেক চিকিৎসা দিলে হোমিও চিকিৎসায় আরোগ্য হয়।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট