ফজলুল হক জয়, স্টাফ রিপোর্টার
চট্টগ্রামের মীরসরাই উপজেলার ওসমানপুর ইউনিয়নের মরগাং এলাকার মৎস্য চাষী মোঃ সেলিমের মৎস্য প্রকল্প থেকে প্রায় ২৬ কোটি টাকার মাছ গত বছর বন্যায় প্লাবিত হয়ে গেছে যার ৮ মাস পেরিয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত তিনি পাননি কোন সরকারি সহায়তা। প্রবাস ফেরত মোঃ সেলিম মিয়া জানান,প্রবাসের সারা জীবনের কষ্টে অর্জিত অর্থে এবং ব্যাংকে সাড়ে ৬ একর জমি জামানত দিয়ে ৭ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে ২০০৭ সালে মৎস্য চাষ শুরু করেন তিনি, যেখানে উদ্দেশ্য ছিল কিছু ব্যক্তিগত মুনাফার পাশাপাশি দেশের অর্থনীতিতে যোগান দেয়া। সেলিম মিয়ার সেই স্বপ্ন পূরণ হতে দেয়নি গেল বছর আগস্ট মাসে ঘটে যাওয়া ভয়াবহ বন্যা।১৪০ একর জুড়ে করা মৎস্য প্রকল্পের সব মাছ কেড়ে নিলো সর্বনাশী বন্যা।পথে বসার উপক্রম হয় তার। এক সাক্ষাৎকারে মো: সেলিম জানান,তার মত অনেক মৎস্য চাষী বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে অভাব-অনটনে দিন কাটাচ্ছেন।দীর্ঘদিন দেশের মানুষের আমিষের চাহিদা পূরণে যারা ভূমিকা রাখছেন সরকারের পক্ষ থেকে ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য কোন পদক্ষেপ না থাকলে খুব দ্রুতই “মাছে-ভাতে বাঙালি”এ কথার মর্মার্থ হারাবে এ দেশ। দুঃখ প্রকাশ করে সেলিম মিয়া বলেন,বাংলাদেশ কৃষির উপর নির্ভরশীল হলেও ৮ মাস পেরিয়ে গেলেও সরকারের কোন মহল খবর রাখেনি প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত সেলিম মিয়ার মত অনেক মৎস্য চাষীর। এদিকে এসব মৎস্য প্রকল্পে কর্মরত অসংখ্য শ্রমজীবী মানুষ তাদের মজুরি ও বেতন না পেয়ে পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন।ভুক্তভোগী এসব মানুষ প্রকল্প ঘুরে দাঁড় করাতে সরকারি সহায়তার জন্য সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে মীরসরাই উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা নাসিম আল মাহমুদ জানান,সেলিম মিয়ার মত ক্ষতিগ্রস্ত এসব মৎস চাষীদের পাশে দাঁড়ানো উচিত।তাদের কিস্তি এবং সুদের হার সাময়িকভাবে স্থগিত সহ পর্যাপ্ত অনুদান কিভাবে দেয়া যেতে পারে সে বিষয়ে তারা কাজ করে যাচ্ছেন।