
মোঃ আব্দুল কাদের স্টাফ রিপোর্টার ময়মনসিংহ।
ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলায় জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় ও চীনের South China Sea Institute of Oceanology, China Academy of Sciences (SCSIO, CAS), Guangzhou-এর মধ্যে সমঝোতা স্মারক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। দুই দেশের শিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান দুটির মধ্যে এই চুক্তির মাধ্যমে একাডেমিক ও বৈজ্ঞানিক সহযোগিতার নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হলো।
গত ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫, শুক্রবার চীনের গুয়াংঝুতে অবস্থিত আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান SCSIO, CAS-এ এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ১৯৫৯ সালে প্রতিষ্ঠিত এই প্রতিষ্ঠানটি চীনসহ আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সমুদ্রবিজ্ঞান গবেষণার জন্য সুপরিচিত।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বে চার সদস্যের প্রতিনিধিদল উপস্থিত ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. মো. মিজানুর রহমান। চীনের পক্ষে স্বাক্ষর করেন SCSIO-এর উপ-মহাপরিচালক প্রফেসর ড. কিয়াং লিন। প্রতিস্বাক্ষর করেন জাককানইবি’র ট্রেজারার প্রফেসর ড. জয়নুল আবেদীন সিদ্দিকী এবং ল্যাবরেটরি অব ওশান অ্যান্ড মার্জিনাল সি জিওলজির প্রফেসর ড. চুয়ানসিউ লু।
অনুষ্ঠানের আগে দুই প্রতিষ্ঠানের ইতিহাস, কার্যক্রম এবং ভবিষ্যৎ যৌথ গবেষণার সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেন প্রফেসর ড. মো. মিজানুর রহমান, প্রফেসর ড. আশরাফ আলী সিদ্দিকী, প্রফেসর ড. চুয়ানসিউ লু এবং প্রফেসর ড. জিয়ানওয়ে চি।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জাককানইবি’র এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রফেসর ড. আশরাফ আলী সিদ্দিকী এবং চীনের খ্যাতনামা গবেষকবৃন্দ—প্রফেসর ড. চোলুন লি, প্রফেসর ড. ইয়েহুই ট্যান, প্রফেসর ড. রং সিয়াং, প্রফেসর ড. লানলান ঝ্যাং, প্রফেসর ড. জিয়াংগু লিউ, প্রফেসর ড. তিয়ানরান চেন, প্রফেসর ড. জিয়ানওয়ে চি সহ অন্যান্য শিক্ষক ও গবেষকরা।
চুক্তি শেষে জাককানইবি’র কপি গ্রহণ করেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম এবং চীনের কপি গ্রহণ করেন SCSIO-এর উপ-মহাপরিচালক প্রফেসর ড. কিয়াং লিন। অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা স্মারক বিনিময় ছাড়াও প্রতিনিধি দলকে প্রতিষ্ঠানটির বিভিন্ন গবেষণাগার ঘুরিয়ে দেখানো হয়। সেখানে চলমান গবেষণা কার্যক্রম ও অর্জিত বাস্তব ফলাফল উপস্থাপন করেন SCSIO কর্তৃপক্ষ।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই সমঝোতা স্মারক চুক্তির মাধ্যমে দুই প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শিক্ষক, গবেষক ও শিক্ষার্থী বিনিময়, পোস্টডক্টরাল, পিএইচডি ও মাস্টার্স ফেলোশিপ, যৌথ গবেষণা প্রকল্প, ভিজিটিং স্কলার প্রোগ্রামসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা বৃদ্ধি পাবে। এর ফলে বাংলাদেশের উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রমে আন্তর্জাতিক মান উন্নীত হবে এবং দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।