বাদল আহাম্মদ খাননিজস্ব প্রতিবেদক
বেলা ১০টা। টিকিটি কাউন্টারের সামনে লম্বা লাইন। একদিকে নারী, অন্যদিকে পুরুষ। সব মিলিয়ে জনা ত্রিশেকের উপস্থিতি। আধাঘন্টার মধ্যে এ লাইন লম্বা হয়ে দ্বিগুনের বেশি। এভাবেই চলতে থাকলো ঘন্টা দু’য়েক। জনপ্রতি একটি করে টিকিট পাচ্ছেন। কেউ বিশেষ অনুরোধ করলেন পাচ্ছেন দু’টি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে এ দৃশ্য প্রতিদিনের। বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় চলাচলকারি তিতাস কমিউটার ট্রেনের টিকিট কাটার জন্য এ দীর্ঘ লাইন। বেলা সোয়া একটায় ট্রেন হলেও ১০টা থেকে কাউন্টার খোলা হয় বিধায় তখন থেকেই যাত্রীরা এসে ভিড় করতে থাকেন। ভোরেও একই অবস্থার সৃষ্টি হয়। তিতাস কমিউটার ট্রেন একবার ভোরে, আরেকবার দুপুরে ঢাকার দিকে যায়।
এই যখন অবস্থা তখন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-ঢাকা রেলপথে একটি বিশেস ট্রেন চালুর দাবি জানানো হয়েছে। একইসঙ্গে চট্টগ্রাম-ময়মনসিংহ-চট্টগ্রাম পথে চলাচলকারী আন্তনগর বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনের ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে যাত্রা-বিরতির দাবি উঠেছে।
ওই দাবিতে শনিবার, ১৮ অক্টোবর সকাল সাড়ে ১০টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে জেলা নাগরিক ফোরামের উদ্যোগে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা নাগরিক ফোরামের সভাপতি সাংবাদিক পীযূষ কান্তি আচার্য। সাধারণ সম্পাদক বীরমুক্তিযোদ্ধা রতন কান্তি দত্তের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন বীরমুক্তিযোদ্ধা ওয়াছেল সিদ্দিকী, বীরমুক্তিযোদ্ধা আবু হোরায়রাহ, সচেতন নাগরিক কমিটির (সনাক) সভাপতি অ্যাডভোকেট আবদুন নূর, জেলা সিপিবির সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম স্বপন, জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য নজরুল ইসলাম, আনন্দময়ী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবু জামাল, উদীচী শিল্পীগোষ্ঠির সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস রহমান, সাহিত্য একাডেমির সাধারণ সম্পাদক নূরুল আমিন, জেলা সরকারি কর্মচারি কল্যাণ সমিতির সভাপতি মো. আশরাফ উদ্দিন আহমেদ, খেলাঘর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাধারণ সম্পাদক নীহার রঞ্জন সরকার, সোনালী সকালের সভাপতি ফাহিম মুনতাসির প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, প্রতিদিন ছয় থেকে সাত হাজার যাত্রী ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন থেকে বিভিন্ন গন্তব্যে যাতায়াত করেন। কিন্তু বিপুল পরিমাণ যাত্রীর তুলনায় টিকিট সংখ্যা খুবই কম। বিশেষ করে ঢাকার পথে যেতে টিকিট সংখ্যা নগণ্য। যার ফলে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। তাই দ্রুত ব্রাহ্মণবাড়িয়া-ঢাকা রেলপথে একটি বিশেষ ট্রেন চালু এবং আন্তঃনগর বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনের ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে যাত্রাবিরতি সময়ের দাবি হয়ে উঠেছে।’ এ সময় বক্তারা টিকিট কালোবাজারি বন্ধ ও অন্যান্য ট্রেনের আসনসহ টিকিট বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন।