
মোঃ গুলজার রহমান বগুড়া জেলা প্রতিনিধি
গাবতলী, বগুড়া: বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও সাবেক সংসদ সদস্য মো. হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু বলেছেন, শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড—এই নীতি বেগম খালেদা জিয়ার সরকারই বাস্তবায়ন করেছিল এবং তিনিই শিক্ষা খাতে সর্বোচ্চ বাজেট বরাদ্দ করেছিলেন। তার মন্ত্রিসভার সদস্যদের আপত্তি সত্ত্বেও তিনি এই গুরুত্বপূর্ণ খাতে সর্বোচ্চ বরাদ্দ নিশ্চিত করেন।
২৬ অক্টোবর রবিবার বগুড়ার গাবতলী উপজেলার মহিষাবান সরকারপাড়া আশরাফুল উলুম দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষার মান উন্নয়নে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকাবাসীর সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
সাবেক এমপি লালু তার বক্তব্যে বলেন, আজকের ছাত্রছাত্রীরা আগামী দিনের দেশ ও জাতির ভবিষ্যৎ। অভিভাবকদের উচিত সন্তানদের সুন্দরভাবে গাইড করা এবং শিক্ষকদের দায়িত্ব হলো নিষ্ঠার সাথে পাঠদান করা। তিনি আরও উল্লেখ করেন যে, বেগম খালেদা জিয়া প্রথম প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর শিক্ষকদের পদোন্নতি এবং স্বচ্ছতার মাধ্যমে শিক্ষক নিয়োগ নিশ্চিত করেছিলেন, যার ফলস্বরূপ শিক্ষা খাত বিএনপির এক নম্বর খাতে পরিণত হয়।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের শিক্ষা বিষয়ক কর্মকাণ্ডের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, তারেক রহমান শিক্ষার্থীদের নিয়ে ভার্চুয়ালির মাধ্যমে মতবিনিময় সভা করেছেন, যেখানে তিনি ঘণ্টার পর ঘণ্টা ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের কথা শুনেছেন এবং তাদের প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন। এই আলোচনায় শুধুমাত্র শিক্ষার ওপর কথা হয়েছে, কোনো রাজনৈতিক আলোচনা স্থান পায়নি।
মো. হেলালুজ্জামান তালুকদার লালু বাল্যবিবাহের বিরুদ্ধে অভিভাবকদের সতর্ক করেন। তিনি বলেন, অপ্রাপ্ত মেয়েদেরকে বাল্যবিবাহ দেওয়া একটি আইনগত অপরাধ। তিনি অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানান, তারা যেন ছেলেমেয়েদের শিক্ষিত করে গড়ে তোলেন, কারণ একটি শিক্ষিত মেয়ে শিক্ষিত ছেলের চেয়ে দ্বিগুণ ভালো এবং শিক্ষিত মা-ই একটি শিক্ষিত জাতি তৈরি করতে পারে। তিনি আরও বলেন, ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ার জন্য ঘরে ভালো পরিবেশ তৈরি করা অভিভাবকের কর্তব্য।
মতবিনিময় সভায় উপস্থিতি মাদ্রাসার সভাপতি ছাত্রনেতা মাহমুদুল হাসান মোহনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বগুড়া জেলা বিএনপির মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক মো. সাইফুল ইসলাম, গাবতলী পৌর বিএনপি সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহিম পিন্টু এবং জিয়া পরিষদ বগুড়া জেলা শাখার যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ নূরে আলম সিদ্দিকী।
অত্র মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত সুপার মো. আব্দুর রহিমের পরিচালনায় আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মহিষাবান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মজিদ মন্ডল, মোশারফ হোসেন শাহীন (সভাপতি, মহিষাবান সোনাকানিয়া হিজাবুন নূর বালিকা দাখিল মাদরাসা), সুপার মাওঃ মো. আব্দুল বাছেদ, বাগবাড়ী ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আব্দুর রহিম এবং তল্লাতলা দাখিল মাদ্রাসার সুপার তরিকুল আলম।
এতে আরও উপস্থিত ছিলেন গাবতলী উপজেলা যুবদলের আহবায়ক আরিফুর রহমান মজনু, দুর্গাহাটা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল হান্নান, গাবতলী পৌর যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আব্দুল লতিফ, গাবতলী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকদলে সদস্য সচিব সুজা উদ্দিন সুজা, ছাত্রদল নেতা মোতাছিন বিল্লা মুন এবং মহিষাবান ইউনিয়নের ৯নং ও ৭নং ওয়ার্ড বিএনপির নেতৃবৃন্দসহ মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকবৃন্দ।