
কামরুজ্জামান কামরুলনীলফামারী জেলা প্রতিনিধি
৩০ অক্টোবর,২৫ শুক্রবার
কিশোর কন্ঠ ফাউন্ডেশনের আয়োজনে “কিশোর কন্ঠ পাঠক ফোরাম মেধাবৃত্তি পরীক্ষা/২০২৫” অনুষ্ঠিত হয়েছে জলঢাকা সহ জেলার তিনটি পরীক্ষা কেন্দ্রে। নীলফামারী জেলার ডোমার, ডিমলা ও জলঢাকা উপজেলার দুটি কেন্দ্রে মোট চার হাজারের বেশী শিক্ষার্থী এই মেধাবৃত্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহন করে। জলঢাকার সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে এক হাজার তিনশত জন ও জলঢাকা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে আটশত জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশগ্রহন করে। বৃষ্টিবিঘ্নিত দিনে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হলেও বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনা ও ব্যাপক আগ্রহের সাথে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা কেন্দ্রে আসতে ও পরীক্ষায় অংশগ্রহন করতে দেখা গেছে। ব্যাপক সংখ্যক অভিভাবকের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে পরীক্ষা কেন্দ্রের বাইরে। চতুর্থ শ্রেনী থেকে দশম শ্রেনীর ছাত্রছাত্রীরা এই পরীক্ষায় অংশগ্রহনের সুযোগ পেয়েছে। শ্রেনী ভিত্তিক ভিন্ন ভিন্ন নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্নপত্রে তাদের পরীক্ষা গ্রহন করা হয়। সম্পুর্ন নকল মুক্ত ও সুশৃঙ্খল ভাবে গৃহিত পরীক্ষা কেন্দ্রে কোনোরকম বিশৃঙ্খলা কিংবা অনিয়মের কোনো চিত্র পরিলক্ষিত হয় নাই। পরীক্ষা কেন্দ্রের বাইরে অপেক্ষমান একজন অভিভাবক নাফিসা জাহান জানান, তার ৮ম শ্রেনীর মেয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহন করছে এবং পরীক্ষায় অংশগ্রহনের জন্যে প্রায় দুইমাস যাবত সে ব্যাপক প্রস্ততি গ্রহন করেছে।পরীক্ষাকেন্দ্রে শৃঙ্খলা ও পরিবেশ রক্ষায় পুলিশকে দায়িত্ব পালন করতে দেখা যায়। পরীক্ষা পরিদর্শনে আসা বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও রাজনীতিবিদ জনাব মোখলেছুর রহমান মাস্টার পরীক্ষা কেন্দ্রের পরিবেশ দেখে গভীর সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং শিক্ষার্থীদের পড়ার টেবিলে ফিরিয়ে আনতে এ জাতীয় আয়োজন খুবই গুরুত্বপুর্ন বলে মত প্রকাশ করেন। জলঢাকা প্রেস ক্লাবের সভাপতি ও শিক্ষাবিদ জনাব আলহাজ্ব কামরুজ্জামান বলেন, কিশোর কন্ঠ মেধাবৃত্তি পরীক্ষা একটি প্রতিযোগিতা মুলক পরীক্ষা। এই পরীক্ষা অংশগ্রহনকারীদের মেধা বিকাশ ও তাদের ভবিষ্যত ক্যারিয়ার গঠনে সুদূরপ্রসারী প্রভাব ফেলবে নিঃসন্দেহ।
বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ও মিডিয়া ব্যাক্তিত্ব জনাব ফয়সাল মুরাদ বলেন, এ জাতীয় আয়োজন শিক্ষার্থী ঝরে পড়া রোধে ও মেধাবী প্রজন্ম গড়ে তুলতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
নীলফামারী জেলা কিশোর কন্ঠ মেধাবৃত্তি পরীক্ষা আয়োজক কমিটির চেয়ারম্যান জনাব তাজমুল হাসান সাগর জানান, গত আগস্ট মাসে শিক্ষার্থীদের নিবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয় এবং শিক্ষার্থীদের সিলেবাস ও প্রবেশপত্র ইস্যু করা হয়। আজ তাদের কাঙ্খিত সেই পরীক্ষা সফলভাবে আয়েজন করতে পেরে আমরা আনন্দিত। এই পরীক্ষার মাধ্যমে নির্বাচিত বিজয়ী শিক্ষার্থীদের ল্যাপটপ সহ তিন লক্ষ টাকার পুরস্কার দেয়া হবে।