1. info@dainikbbckhobor.com : দৈনিক বিবিসির খবর : দৈনিক বিবিসির খবর
  2. info@www.dainikbbckhobor.com : দৈনিক বিবিসি খবর :
শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:৫৫ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে পুলিশের মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেফতার ১ রামগঞ্জে শাহাদাত হোসেন সেলিমেরপদযাত্রা  শুরু গাইবান্ধায় পুলিশ লাইন্স স্কুল পরিদর্শন করলেন পুলিশ সুপার বিজয়নগর থেকে কোটি টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের ৩৮তম বাৎসরিক অধিনায়ক সম্মেলন-২০২৫ অনুষ্ঠিত সেনাবাহিনী প্রধান কর্তৃক আর্মি মেডিকেল কলেজ, চট্টগ্রাম এর স্থায়ী ক্যাম্পাস উদ্বোধন ঝালকাঠিতে ২৫ পিস ইয়া.বাসহ দুই জনকে আটক করেছে ডিবি পুলিশ আওয়ামী লীগ সমাজকে নষ্ট  করেছে- মুশফিকুর রহমান সুষ্ঠু ভোটের প্রত্যাশা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাগরিকদের সোনারগাঁয়ে‌ আবুল খায়ের আহ্বান। খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দেশবাসীর দোয়া প্রার্থনা

প্রাইমারী চাকুরীতে ১২ লাখ টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ

  • প্রকাশিত: বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫
  • ২১৫ বার পড়া হয়েছে

জোবায়দুর রহমান জুয়েল

গাইবান্ধা জেলা প্রতিনিধি: প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চাকুরী পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে প্রায় ১২ লাখ টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে প্রাথমিকের  সহকারী শিক্ষিকা মাহমুদার বিরুদ্ধে।

পরে চাকুরী নিয়ে দিতে তালবাহানা করায় টাকা ফেরত চাইলে নানা ধরনের হুমকিও দেন তিনি। এছাড়া আরো অনেকের কাছে প্রাথমিকে চাকুরী  দেওয়ার কথা বলে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে ওই শিক্ষিকার বিরুদ্ধে।

অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সুবর্নদহ গ্রামের শহিদুল ইসলামের মেয়ে শাহনাজ পারভীন গত ২০২৩ সালের ৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত প্রাথমিকে সহকারি শিক্ষক নিয়োগ (গ্রুপ-১) পরীক্ষায় অংশগ্রহন করেন। যার রোল নং ৩৭২০৯৩৪।

এতে অকৃতকার্য হন তিনি।

এদিকে একই উপজেলার পরান গ্রামের আলম মিয়ার স্ত্রী চাঁদপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মাহমুদা বেগমের সাথে শাহনাজ পারভীনের স্বামীর পরিবারের আত্নীয়তার সম্পর্ক থাকায় তাদের বাড়ীতে নিয়মিত যাতায়াত ছিলো।

সেই সুবাদে মাহমুদা বেগম ও তার ভাই রানা মিয়া চাকুরী প্রত্যাশী শাহনাজ পারভীনের বাড়ীতে আসে এবং চাকুরী নিয়ে দিতে পারবে বলে নানা রকমের চাঠুকার গল্প করেন।

এসময় তারা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর এবং প্রাথমিক ও গনশিক্ষা অধিদপ্তরের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের সাথে ভালো সম্পর্কেরও কথা বলেন এবং চাকুরী বাবদ মোট ১২ লাখ টাকা চান। সেসময় তাদের কথা বিশ্বাস করে  শাহনাজ পারভীনের শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ সহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় কাগজপত্রাদী ও নগদ ১০ লাখ টাকা তাদের হাতে প্রদান করা হয়।

এর কিছুদিন পর  রানা মিয়ার ০১৩০৩৯৮৯০৬৫  নম্বরে মোবাইল ব্যাংকিং বিকাশের মাধ্যমে ১ লাখ ৪০ হাজার পাঁচশ টাকা দেওয়া হয়। পরে সহকারী শিক্ষিকা মাহমুদা বেগম ও তার ভাই রানা মিয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা জানায়, নিয়োগ সংক্রান্ত সকল কাগজপত্র চুড়ান্ত হয়েছে,বাকি ৬০ হাজার টাকা দ্রুত পরিশোধ করিলে নিয়োগপত্র প্রদান করা হবে।

তাদের এমন কথায় শাহনাজ পারভীনের পরিবারের সদস্যদের সন্দেহ হলে তারা টাকা ফেরত চাইলে নানা রকম ভয়-ভীতি ও হুমকি দিতে থাকে মাহমুদা ও তার ভাই রানা মিয়া।

প্রাথমিকে চাকুরী প্রত্যাশি শাহনাজ পারভীন বলেন, সহকারি শিক্ষিকা মাহমুদা ও তার ভাই রানা মিয়ার সাথে চাকুরী সংক্রান্তে মোবাইল ফোনে কথপোকথনের সকল ভয়েস রেকর্ড ও টাকা লেনদেনের ভিডিও ফুটেজ আমাদের কাছে সংরক্ষন আছে। যা ঘটনা প্রমান করবে।

তিনি আরও বলেন,এই ঘটনায় সুন্দরগঞ্জ থানার ওসি,পুলিশ সুপার ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের কাছে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। এই প্রতারনার শিকার শুধু আমি একাই হইনি, আমার মতো আরো অনেকেই হয়েছেন। এসময় তিনি ওই প্রতারক ভাই ও বোনের কাছে থাকা তার মুল সনদপত্র গুলি ও টাকা ফেরত সহ তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তিনি।

এবিষয়ে সুন্দরগঞ্জ থানার ওসি আব্দুল হাকিম আজাদ বলেন, এমন অভিযোগ পেয়েছি,দ্রুত তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জানতে চাইলে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নবেজ উদ্দিন মুঠোফোনে বলেন, অভিযোগটি খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। প্রতিবেদন হাতে আসলেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট