বিশেষ,প্রতিনিধিঃ মোছাঃলাবুনী আক্তার
গতকাল শনিবার বিকেলে দ্বি চক্রযান বাইসাইকেল চালিয়ে আমার বাবা পলাশবাড়ী এসএম পাইলট মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত হেড ক্লার্ক মজিদুল হক সরকার মজনু (৮৫) পলাশবাড়ী পৌর শহরের ব্র্যাক এলাকার হাটে যাচ্ছিলেন। এ সময় অজ্ঞাত এক মোটরসাইকেল চালক পিছনে সজোরে দ্বি চক্রযানে ধাক্কা দেয় এবং আমার বাবা সাইকেল ছিটকে পড়ে। বাইকার তার গাড়ি কন্ট্রোল করতে না পারলে আমার বাবার বুকের উপর মোটরসাইকেলের একটি চাকা উঠে। বাইসাইকেলটি ক্ষতিগ্রস্ত সহ আমার বাবা চোখের কোণে এবং বুকে সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর আঘাত প্রাপ্ত হন।
স্থানীয় লোকজন আমার বাবাকে উদ্ধার করে পলাশবাড়ী হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। আর এ সুযোগে অজ্ঞাত নামা মোটরসাইকেল চালক আহতের কোনো খোঁজ খবর না নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল হতে সটকে পড়ে আমার প্রশ্ন পথে চলতে দূর্ঘটনা ঘটা অস্বাভাবিক কোনো ঘটনা নয়,কিন্তু একজনকে আহত করে তার খোঁজ খবর ও হাসপাতালে না নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল হতে সটকে পড়া এটা কোন ধরণের মানবিকতা বিবেক কি তাহলে ডাস্টবিনে চলে গেলো।
যাই হোক আমি সংবাদ পেয়ে হাসপাতালে বাবার দেখভাল করে এবং বুকের এক্স-রে ও অন্যান্য পরীক্ষা নীরিক্ষা সম্পন্ন করি। মহান রাব্বুল আলামীনের অশেষ রহমত থাকার কারণে বুকের হাড় ভাঙ্গেনি তবে প্রচন্ড আঘাত প্রাপ্ত হয়েছেন। শেষে জরুরী বিভাগে চিকিৎসকের পরামর্শ ও ব্যবস্থাপত্র নিয়ে পলাশবাড়ী পৌর শহরের শাহাদৎ মেডিকেল হলের আনজু ভাইয়ের দোকান থেকে ওষুধ নিয়ে আবার হাসপাতালে দৌড়ঝাঁপের মধ্যে দিন কেটে গেলো।
আল্লাহর অশেষ রহমত,মেহেরবানী ও সবার দোয়ায় বাবা এখন কিছুটা সুস্থ, বাকীটা আল্লাহ ভরসা। আমার
বাবা যেনো দ্রুত আরোগ্য লাভ করে সেজন্য সবার দোয়া কামনা করছি আমীন
সড়ক দূর্ঘটনায়