1. info@dainikbbckhobor.com : দৈনিক বিবিসির খবর : দৈনিক বিবিসির খবর
  2. info@www.dainikbbckhobor.com : দৈনিক বিবিসি খবর :
শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১:৩৮ অপরাহ্ন
সর্বশেষ :
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে পুলিশের মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেফতার ১ রামগঞ্জে শাহাদাত হোসেন সেলিমেরপদযাত্রা  শুরু গাইবান্ধায় পুলিশ লাইন্স স্কুল পরিদর্শন করলেন পুলিশ সুপার বিজয়নগর থেকে কোটি টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের ৩৮তম বাৎসরিক অধিনায়ক সম্মেলন-২০২৫ অনুষ্ঠিত সেনাবাহিনী প্রধান কর্তৃক আর্মি মেডিকেল কলেজ, চট্টগ্রাম এর স্থায়ী ক্যাম্পাস উদ্বোধন ঝালকাঠিতে ২৫ পিস ইয়া.বাসহ দুই জনকে আটক করেছে ডিবি পুলিশ আওয়ামী লীগ সমাজকে নষ্ট  করেছে- মুশফিকুর রহমান সুষ্ঠু ভোটের প্রত্যাশা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাগরিকদের সোনারগাঁয়ে‌ আবুল খায়ের আহ্বান। খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় দেশবাসীর দোয়া প্রার্থনা

ছেলের ছুরিআঘাতে বাবা নিহা তো নিজের সন্তানের কাছে বাবা নিরাপদ নেই

  • প্রকাশিত: রবিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
  • ৫০ বার পড়া হয়েছে

প্রতিবেদক আলমগীর হোসেন তালুকদার

ভোলা দারুল হাদিস কামিল মাদ্রাসার মুহাদ্দিস, ভোলা সদর উপজেলা পরিষদ জামে মসজিদের খতিব ও ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের জেলা সেক্রেটারি মাওলানা আমিনুল হক নোমানী (৪৪) হত্যাকাণ্ডের সাত দিন পর ঘটনার রহস্য উন্মোচন করেছে ভোলার পুলিশ বিভাগ। নিহত ব্যক্তি সদর উপজেলা জামে মসজিদের খতিব ছিলেন।

পুলিশের দাবি, হত্যার সঙ্গে নিহতের ছেলেই জড়িত। হত্যাকাণ্ডে সরাসরি সম্পৃক্ততার অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাতে জেলার তজুমদ্দিন উপজেলা থেকে তাকে গ্রেফতার করে ভোলার গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকালে জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) শরীফুল হক এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।

পুলিশ জানায়, গত ৬ সেপ্টেম্বর রাত ৯টা ২০ মিনিটে ৯৯৯–এর মাধ্যমে খবর পেয়ে সদর থানা পুলিশ ও ডিবির টিম ঘটনাস্থলে যায়। গুরুতর আহত নোমানী হুজুরকে স্থানীয়রা হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরদিন নিহতের স্ত্রী হালিমা বিনতে কামাল বাদী হয়ে ভোলা সদর থানায় হত্যা মামলা করেন।

এসপি জানান, তদন্তের এক পর্যায়ে গত ১২ সেপ্টেম্বর সন্দেহভাজন হিসেবে নিহতের ছেলে রেদওয়ান হককে ডিবি হেফাজতে নেওয়া হয়। পরে সে জিজ্ঞাসাবাদে পিতাকে হত্যার কথা স্বীকার করে এবং তার দেখানো মতে বাড়ির পেছনের খাল থেকে হত্যায় ব্যবহৃত ছুরিটি উদ্ধার করা হয়। মামলাটি বর্তমানে ভোলা জেলা গোয়েন্দা শাখার সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন সেলে তদন্তাধীন রয়েছে।

শরীফুল হক জানান, হত্যার ‘কিলিং মিশনে’ নিহতের ছেলে একাই অংশ নিয়েছেন বলে প্রাথমিক তদন্তে নিশ্চিত হওয়া গেছে। বাবার কড়া শাসন মানতে না পেরে ক্ষোভে তিনি বাবাকে খুন করেন। এ জন্য ইউটিউবে বিভিন্ন ক্রাইম মুভি দেখে দক্ষতা অর্জন করেন কীভাবে আঘাত করলে মৃত্যু নিশ্চিত হবে তা শিখে নেন।

পুলিশ কর্মকর্তা জানান, দুই মাস আগে থেকেই বাবাকে হত্যার জন্য প্রস্তুতি নিতে থাকেন ছেলে। এরপর হত্যার উদ্দেশে ছুরি, টি-শার্ট, ক্যাপ ও হাতঘড়ি সংগ্রহ করেন।

তিনি জানান, বাবার শাসনে ক্ষোভ থেকে একবার আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন। তবে ব্যর্থ হওয়ার পর বাবাকে হত্যার সিদ্ধান্ত নেন। সেই অনুযায়ী পরিকল্পনা করতে থাকেন এবং গত ৬ সেপ্টেম্বর রাতে ঘরে একা পেয়ে বাবাকে খুন করেন। তবে এ হত্যাকাণ্ডে ছেলের সঙ্গে আরও কেউ জড়িত আছে কি না, সেটিও তদন্ত করছে পুলিশ।

এসপি শরীফুল হক আরও জানান, ঘাতক সন্তান নিজ বাড়িতে থাকতেন না, বাবার সঙ্গে রাগ করে মামার বাড়িতে থাকতেন। তবে পড়াশোনা করতেন বাবার মাদ্রাসায়।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট