মোঃ আব্দুল কাদেরস্টাফ রিপোর্টার, ময়মনসিংহ।
ময়মনসিংহের ত্রিশালে যথাযোগ্য মর্যাদা, উৎসবমুখর পরিবেশ ও নানা আয়োজনে উদযাপিত হলো জাতীয় কন্যা শিশু দিবস ২০২৫ ইং।
“কন্যা শিশুর নিরাপত্তা, সবার আগে নিশ্চয়তা”— এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বুধবার (৮ অক্টোবর)২০২৫ ইং,তারিখে, দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
প্রতিবছরের মতো এবারও দিবসটি উপলক্ষে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো নানা কর্মসূচি পালন করে। সকাল থেকেই ত্রিশাল উপজেলা পরিষদ হলরুম চত্বর ছিল উৎসবমুখর পরিবেশে মুখরিত। রঙিন পোশাকে সেজে আসে বিভিন্ন স্কুলের কন্যা শিশুরা; হাতে ব্যানার ও প্ল্যাকার্ডে নিরাপদ ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের আহ্বান জানায় তারা।
উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ চত্বর থেকে বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে উপজেলা মিলনায়তনে গিয়ে শেষ হয়। পরে উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শামীমা সুলতানার সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল্লাহ আল বাকীউল হিল বারী। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, শিক্ষক-শিক্ষার্থী, সাংবাদিক, জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
বক্তারা বলেন, একটি জাতির অগ্রগতি নির্ভর করে নারী ও পুরুষের সমান অংশগ্রহণের ওপর। কন্যা শিশুর সুরক্ষা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও অধিকার নিশ্চিত করা সমাজের প্রতিটি সদস্যের নৈতিক দায়িত্ব। কন্যা শিশুরা কোনো বোঝা নয়; তারা আগামী দিনের নেতা, বিজ্ঞানী, শিক্ষক, চিকিৎসক ও দেশগড়ার হাতিয়ার।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাঁর বক্তব্যে বলেন,
“কন্যা শিশুর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা শুধু সরকারের দায়িত্ব নয়, প্রতিটি পরিবারেরও কর্তব্য। ঘরে-বাইরে, বিদ্যালয়ে এবং সমাজের প্রতিটি স্তরে কন্যা শিশুর জন্য নিরাপদ পরিবেশ গড়ে তুলতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।”
আলোচনা সভা শেষে কন্যা শিশুদের অংশগ্রহণে পরিবেশিত হয় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। পরে অতিথিবৃন্দ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী ও সেরা পরিবেশক কন্যা শিশুদের হাতে পুরস্কার ও সনদপত্র তুলে দেন।
দিবসটি উপলক্ষে ত্রিশাল জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে আনন্দ ও সচেতনতার বার্তা।
কন্যা শিশু দিবসের মূল উদ্দেশ্য— সমাজে কন্যা শিশুদের প্রতি বিদ্যমান বৈষম্য দূর করা, তাঁদের অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং একটি সমানতাভিত্তিক সমাজ গঠন করা।
ত্রিশালের মানুষও আজ সেই অঙ্গীকারই পুনর্ব্যক্ত করেছে
“কন্যা শিশুর প্রতি দায়িত্ব আমাদের সবার।