শরিফুল ইসলাম ভূঁইয়া, রামগঞ্জ
২০২৪ সালের দেশব্যাপী সবচাইতে আলোচিত কয়েকজন অভিযোগ করে যে, রামগঞ্জ উপজেলায় অবস্থিত গ্রামীণ সঞ্চয় ব্যাংকের কর্মকর্তা ইমাম হোসেন ২০১৮ সালে বিভিন্ন লোকের নামে ভুয়া লোন পাস করে ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ইমাম হোসেনকে ক্লোজ করে লক্ষ্মীপুর অফিসে নিয়ে যায় । যাদের নামে এ সমস্ত ভূয়া কাগজপত্র দিয়ে লোন পাস করেছে, ইমাম হোসেন টাকা আত্মসাৎ করেছে তাদের সাথে দীর্ঘদিন ব্যাংক কর্তৃপক্ষ কোন প্রকার যোগাযোগ বা হয়রানি না করলেও সম্প্রতি ব্যাংক কর্তৃপক্ষ ঐ সমস্ত ব্যক্তিদের ব্যাংকের সাথে যোগাযোগ করতে বললেই তারা আতঙ্কিত হয়ে বিষয়টি স্থানীয় সাংবাদিকদের কে জানায়,তাই স্হানীয় সাংবাদিক রামগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও দৈনিক মানবকন্ঠের প্রতিনিধি সাখাওয়াত হোসেন জাহাঙ্গীর, রামগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি ও দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার প্রতিনিধি বেলায়েত হোসেন বাচ্চু, দৈনিক সমকাল প্রতিনিধি জাকির হোসেন সুমন ও দৈনিক ইত্তেফাক প্রতিনিধি জাকির হোসেন মস্তান।
বিষয়টি জানার জন্য তারা রামগঞ্জ উপজেলাস্ত গ্রামীণ সঞ্চয় ব্যাংকে যায় । সেখানে গিয়ে তারা ব্যাংকের ইনচার্জ কে খোঁজ করলে এক লোক দৌড়ে এসে বলল ইনচার্জ ট্রেনিংয়ে লক্ষ্মীপুরে আছে। আপনাদের কোন কিছু জিজ্ঞেস করার থাকলে আমাকে জিজ্ঞেস করুন। তখনই দৈনিক সমকালের প্রতিনিধি জাকির হোসেন সুমন বলল তুমি কে ? জবাবে সে বলল আমি এই অফিসের নৈশপ্রহরী । তখন সুমন বলল নৈশপ্রহরীর সাথে কেন কথা বলবো যদি কোন অফিসার থাকে বলেন আমরা একটা মিনিট কথা বলে চলে যাব । এ সময় নৈশপ্রহরীর পিছন দিয়ে একটা লোক এসে কিছু বলতে চাইলো তখনই নৈশপ্রহরী তাকে বাধা দিয়ে বলল আপনি অসুস্থ আপনি কোন কথা বলবেন না।ওই ব্যক্তি সম্ভবত আত্নহত্যাকারী অথবা মাদক সেবন করতে গিয়ে পা পিছলে পড়ে গিয়ে মৃত্যুবরনকারী মোস্তফা ইকবাল হবে।এরপর সাইফুল ইসলাম নামের এক অফিসার এসে বলল ভাই আপনারা কি জন্য এসেছেন বসুন তখন সাংবাদিকরা ইমাম হোসেনের ব্যাপারে জানতে চাইলে সে ঘটনার কথা স্বীকার করে বলেন ইমাম হোসেনের দুর্নীতির কথাটি সত্য তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়েছে বর্তমানে তদন্তাধীন তাকে লক্ষ্মীপুর অফিসে ক্লোজ করে রাখা হয়েছে।তখন সে সাংবাদিকদের একটি অনুরোধ করেন যে,অফিস ইনচার্জ রহিমা বিবি ট্রেনিংয়ে রয়েছে সে ১লা নভেম্বর আসবে আসার পর তার বক্তব্য দিয়ে নিউজ করার জন্য । তখন সাংবাদিকরা তার সাথে সম্মতি প্রকাশ করে । চা পান করে ৭/৮ মিনিটের মধ্যেই অফিস ত্যাগ করে।
পরে বিকেল সাড়ে ৪ টায় রামগঞ্জ থানার ওসির মাধ্যমে সাংবাদিকরা জানতে পারে গ্রামীণ সঞ্চয় ব্যাংকের মোস্তফা ইকবাল নামের এক কর্মকর্তা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের নির্বাণাধীন পঞ্চম তলার চাদ হইতে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করে।
এর সাথে সাথে চার সাংবাদিক আটক হয়ে যায় তারা আর কিছু বলার , দেখার বা তথ্য নেওয়ার সুযোগ পায়নি । আটক হওয়ার এক মাস ২৫ দিন জেলহাজতে থাকার পর গত ২২ ডিসেম্বর বিজ্ঞ আদালত জামিনে মুক্তি দেয়।
তবে জেলহাজত বরনকারী ওই ৪ সাংবাদিক জানান,মোস্তফা ইকবালের সাথে তাদের জীবনে কখনো মোবাইল অথবা সরাসরি কোনো কথাই হয় নাই। ওই অফিসে চলমান সিসি ক্যামেরা ছিল । সিসি ক্যামেরার ফুটেজ ও মোস্তফা ইকবালের মোবাইল কল রেকর্ড পর্যালোচনা করলে তার সত্যতা পাওয়া যাবে ।
তবে সে কি কারণে আত্মহত্যা করে বা দুর্ঘটনায় মারা যায় এই নিয়ে বিভিন্ন জনের বিভিন্ন মত পাওয়া যায়।
মতামতগুলি সত্য বা মিথ্যা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে যাচাই বাচার জন্য অনুরোধ করা হলো ।
১/ মোস্তফা ইকবালের সাথে ব্যাংক ইনচার্জ রহিমা বিবির একটা সম্পর্ক যাহা নিয়ে তার স্ত্রী শারমিন ইসলামের সাথে দীর্ঘদিন পারিবারিক কলহ চলে আসছে। যাহা উপজেলার অধিকাংশ কর্মচারীদের মাঝে গুঞ্জন বিরাজমান। সেই কলহের জেরেও তো আত্মহত্যা করতে পারে।
২/ এলাকাবাসীর ভাষমতে মোস্তফা ইকবাল একজন মাদকাসক্ত তার প্রতিদিন ১৫০০ থেকে ২০০০ টাকার মাদক সেবন করতো। ওই দিন ৫ তলা ভবনের ছাদে নিরিবিলি অবস্থায় মাদক সেবন করতে গিয়ে পড়েও তো যেতে পারে! যদি সে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করতো তাহলে তার হাত পায় ও সামনে আঘাত থাকতো। কিন্তু পোস্টমর্টেন ও সুরতহালে জানাযায়, তার মাথার পিছনে আঘাতের ফলে তার মৃত্যু হয়। এতে প্রতীয়মান হয় যে,মাদক সেবন করতে গিয়ে নির্মাণাধীন ছাদে মনের ভুলে পিছন হয়ে পড়ে যায়।
৩/ ঘটনার ৯ মাস পূর্বে মোস্তফা ইকবালের মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা ঘটে তখন থেকেই প্রায় সে