1. info@dainikbbckhobor.com : দৈনিক বিবিসির খবর : দৈনিক বিবিসির খবর
  2. info@www.dainikbbckhobor.com : দৈনিক বিবিসি খবর :
মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৩:০৩ পূর্বাহ্ন
সর্বশেষ :
গাইবান্ধার সাঘাটা-ফুলছড়ির বিএনপির আসনে মনোনয়ন পরিবর্তনের দাবি  মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরার  আহবান ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাংবাদিকদের বাংলাদেশ শিল্প উদ্যোক্তা এসোসিয়েশনের নব উপদেষ্টা পরিষদ গঠন করা হলো   আখাউড়া দিয়ে ভারতে ‘রেকর্ড’ রপ্তানি, ২৭  ট্রাকে গেলো সোয়া তিন কোটি টাকার মাছ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিএনপি’র বিক্ষোভ সীমান্তে নজরদারি বাড়িয়েছে বিজিবি ত্রিশালে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত যথাযোগ্য মর্যাদায় গাইবান্ধায় শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন মর্যাদায় গাইবান্ধায় শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাদ্দাম হোসেন  হত্যাকারিদের বিচার দাবি গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে পুলিশের মাদকবিরোধী অভিযানে গ্রেফতার ১

ভাইস চেয়ারম্যান রাজু হ্যান্ডকাপসহ পালানোর কাণ্ডে শিবগঞ্জ থানা থেকে এসআই মামুনকে প্রত্যাহার

  • প্রকাশিত: সোমবার, ৬ অক্টোবর, ২০২৫
  • ১০২ বার পড়া হয়েছে

মোঃ গুলজার রহমান বগুড়া জেলা প্রতিনিধি

বগুড়া শিবগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রিজ্জাকুল ইসলাম রাজুকে, এসআই মামুনের হাত থেকে হ্যান্ডকাপসহ ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগে ওই এলাকার ২০০ জন নারী ও পুরুষের নামে মামালা দায়ের। রবিবার দিবাগত রাতে ২১ জন নারী ও পুরুষকে গ্রেফতার করে, আজ আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।

অপরদিকে বগুড়ায় কর্মরত থাকাকালীনে বারবার আলোচিত-সমালোচিত হয়েছে এসআই মামুন। স্টেডিয়াম পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত থাকাকালে, ওই এলাকাবাসী ওনার একটি ছদ্মনাম রেখেছেন, নামটা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। একই জেলায় কোন অপশক্তির প্রভাব খাটিয়ে বারবার আসেন। এইবার ভাইস চেয়ারম্যান রাজুকে গ্রেফতার কাণ্ডে ঘটনায়, শিবগঞ্জ থানা থেকে এসআই মামুনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

ঘটনায় ওই রাতেই এসআই আব্দুল্লাহ আল মামুন বাদী হয়ে রেজ্জাকুল ইসলাম রাজুসহ দুই শতাধিক নারী-পুরুষের নামে থানায় মামলা করেন। গতকাল রোববার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত পুলিশ কয়েক দফা অভিযান চালায়। এ সময় গ্রেপ্তার করা হয় ১১ জন নারী ও ১০ জন পুরুষকে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা সবাই চক ভোলাখাঁ গ্রামের বাসিন্দা। তাঁরা পেশায় ভ্যানচালক ও দিনমজুর। আর নারীরা সবাই গৃহিণী। এদিকে আজ সোমবার চক ভোলাখাঁ গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, অধিকাংশ বাড়িতে তালা। কাউকে গ্রেপ্তার আবার কেউ গ্রেপ্তার আতঙ্কে বাড়িতে নেই। শিশু আর বৃদ্ধ ছাড়া গ্রামে কেউ নেই। ঘটনার দিন (শনিবার) রাতের প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন স্কুলছাত্র জানায়, আওয়ামী লীগ নেতা রেজ্জাকুল ইসলাম রাজুর বাড়ির পাশের বাড়িতে তাঁর মামাতো ভাইয়ের বিবাহোত্তর বউভাত অনুষ্ঠান শেষ হয় সন্ধ্যায়। এ কারণে বাড়িতে আত্মীয়স্বজনের ভিড় ছিল। রাত ৮টার দিকে রাজু বাড়ির পেছনে একটি মুদিদোকানে বসেছিলেন। এ সময় মোটরসাইকেলে সাদা পোশাকে এক ব্যক্তি এসে রাজুকে আটক করে এক হাতে হ্যান্ডকাফ পরিয়ে নিয়ে যেতে চান। সে সময় আসিফ নামের এক যুবক এসে পুলিশের সামনে দাঁড়িয়ে মোটরসাইকেলের চাবি কেড়ে নেন এবং রাস্তায় বিদ্যুতের ট্রান্সফরমার থেকে বিদ্যুৎ-সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন। এতে ওই মহল্লা অন্ধকার হয়ে গেলে রাজু এক হাতে হ্যান্ডকাফ নিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যান। রাজুর চিৎকারে আত্মীয়স্বজন ও প্রতিবেশীরা এসে ওই ব্যক্তির চোখেমুখে গোবর ও কাদা নিক্ষেপ শুরু করেন। কিছুক্ষণ পর থানা-পুলিশের গাড়ি এসে তাঁকে উদ্ধার করে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে শিবগঞ্জ থানার এক কর্মকর্তা জানান, আওয়ামী লীগ নেতা রাজু বিয়ের অনুষ্ঠানে আছেন—এমন তথ্য পেয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করতে থানার এসআই রাজীব কৃষ্ণ ধরের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের পুলিশের একটি দল গাড়িযোগে চক ভোলাখাঁ গ্রামের দিকে রওনা দেয়। কিন্তু তার আগে এসআই মামুন থানার কাউকে না জানিয়ে সাদা পোশাকে একাই মোটরসাইকেলযোগে সেখানে গিয়ে রাজুকে আটক করেন।

 

প্রতিবেশীরা জানান, রাজু বাড়িতেই থাকতেন। থানা-পুলিশের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ ছিল। গ্রেপ্তার না করার জন্য এক সপ্তাহ আগে এসআই মামুন রাজুর কাছ থেকে এক লাখ টাকা নিয়েছেন। তারপরে এসআই মামুন একাই এসে রাজুকে আটক করায় তাঁর বাড়ির লোকজন ক্ষুব্ধ হয়ে পুলিশের ওপর গোবর ও কাদামাটি নিক্ষেপ করে হাতকড়াসহ পালাতে সুযোগ করে দেন।এ বিষয়ে পুলিশ সুপার জেদান আল মুসা আজকের পত্রিকাকে বলেন, এসআই আব্দুল্লাহ আল মামুনকে থানা থেকে প্রত্যাহার করার পাশাপাশি তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ তদন্তের জন্য তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন পাওয়ার পর তাঁর বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সংবাদটি শেয়ার করুন

আরো সংবাদ পড়ুন

পুরাতন সংবাদ পড়ুন

© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত
ওয়েবসাইট ডিজাইন: ইয়োলো হোস্ট